রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদ সাসপেন্ড হওয়া, পেগাসাসকাণ্ড, লখিমপুর হিংসা, আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ড লিঙ্ক সহ নানা ইস্যুতে বিরোধীদের প্রবল বিরোধীতার মধ্যেই রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন স্থগিত হয়ে গেল অনির্দিষ্টকালের জন্য। ২৯ নভেম্বর শুরু হওয়া এবারের অধিবেশন শেষের কথা ছিল ২৩ ডিসেম্বর। কিন্তু, একদিন আগেই গুটিয়ে গেল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এই সময়কালে ১৮ দিন অধিবেশন বসেছিল। এবারের অধিবেশনে কৃষি আইন প্রত্যাহার, নির্বাচনী সংস্কার সংশোধনী বিল পাস হয়েছে উভয় কক্ষে।
অধিবেশনের প্রথম দিনেই ধ্বনি ভোটে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হয় সংসদের উভয় কক্ষে। কেন বছরভর কৃষকদের আন্দোলন সত্ত্বেও এই আইন বাতিলে দেরি হল, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, আন্দোলনের সময় মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ সহ নানা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় কী অবস্থান? তা জানানোর দাবিতে সরব হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। কিন্তু এ নিয়ে কোনও আলোচনা সংসদে হয়নি।
গত দু'দিনে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হয়েছে নির্বাচনী সংশোধন বিল। এবার রাষ্ট্রপতি সাক্ষর করলেই সেটি আইনে পরিণত হবে। নির্বাচনী সংস্কার বিল মোতাবেক ভোটার কার্ডের সঙ্গে আদার লিঙ্ক করতে হবে। এর ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় থাকবে বলে দাবি কেন্দ্রের। প্রতিবাদ করছে বিরোধী দলগুলি। তাদের যুক্তি, এই লিঙ্কিংয়ের ফলে দেশবাসীর গোপনীয়তার অধিকার খর্ব হবে।
সংসদে পাস হয়েছে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (সংশোধন) বিল ২০২১। এছাড়াও পাস হয়েছে, ইডি, সিভিসি, সিবিআই প্রধানদের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধির বিলটি। রাজ্যসভার ১২ সাংসদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর বিরোধিরা অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে। সেই সময়ই এই বিল দু'টি পাস করা হয়। এই দপুই বিলেই আপত্তি রয়েছে বিরোধী দলগুলির।
এবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিল, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার বিলটি বিরোধীদের বিক্ষোভের জন্য পর্যালোচনার জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে তিনটি বিল পাঠাতে হয়েছে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে। আরেকটি গিয়েছে যৌথ কমিটিতে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছেন, এবারের অধিবেশনে ৮২ শতাংশ কাজ হয়েছে। রাজ্যসভায় কাজ হয়েছে ৪৭ শতাংশ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন।