রক্ষাকবচ পেলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রীর সিবিআইইয়ের থেকে রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ এসএসসি দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রইল।
এসএসসি দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন যে, যে অভিযোগ উঠেছে তার জন্য পদ নিজে খেরে ছেড়ে দেওয়া উচিত পার্থবাবুর। অথবা রাজ্যপাল বা মুখ্যমন্ত্রীর তাঁকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। এছাড়াও পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল যে, অসহযোগিতা করলে মন্ত্রীকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই। এই ধরণের তদন্তে সত্য উদঘাটনে সেটাই ভালো। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়ের বিরুদ্ধেও আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানিয়েছে, পর্যবেক্ষণ মানেই নির্দেশ নয়। তাই, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ মন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী বা তদন্ত সংস্থাকে মানতেই হবে এমনটা নয়।
এরপর মন্ত্রীর একমাত্র ভরসা সুপ্রিম কোর্টের রায়। বৃহস্পতিবারই তিনি সিবিআই তলবের বিপক্ষে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন। আজ সেই মামলার শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন- নজিরবিহীন রায়, চাকরি থেকে বরখাস্ত পরেশ-কন্যা, বেতনের সব টাকা ফেরতের নির্দেশ
গত ১৮ই মে নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআই জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন। আরও তথ্য পেতে তাঁকে ফের তলবের কথা শোনা গিয়েছিল। আইনি এই লড়াইয়ের মধ্যেই মধ্যেই এদিন পার্থবাবুকে দ্বিতীয় বারের জন্য সিবিআই তলব করেছে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে মন্ত্রীকে ফের সিবিআই গোয়ান্দাদের সামনে বসতে হতে পারে।
এই প্রথম নয়, গত বুধবারই সিবিআই তলব পেয়ে রক্ষাকবচের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন পার্থবাবুর আইনজীবীরা। তবে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডানের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। মামলা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপরি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চেই। তারপরই সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, মন্ত্রীকে ওই দিনই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিতে হবে। সেই মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট আগেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছেছিলেন তিনি। তাঁর জেরা চলে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা।
এদিকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলাতেই পার্টি করা হল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তি প্রসাদ সিনহাকে।