তৃণমূলের টিকিট মেলেনি। ক্ষোভ ছিল। এরপরই শনিবার কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায় যে বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম সেখানে জ্বলজ্বল করছে। কলকাতা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর পার্থ মিত্র লড়াই করবেন এবার হাতের প্রতীকে।
কিন্তু তার ২৪ ঘন্টা না কাটতেই পার্থ মিত্রের ভোলবদল। সাফ জানালেন কংগ্রেস নয় তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন। এমনকী এবার পুরযুদ্ধে ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজাকেও প্রচার ও লড়াইয়ে সহায়তা করবেন তিনি। এই ঘটনায় যারপরনাই অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেসের।
ফিরহাদ হাকিমের পাশে দাঁড়িয়ে পার্থ মিত্র বলেছেন, 'আমার নামে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে। মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে এবং ববি হাকিমের আশীর্বাদ আমি তৃণমূল কংগ্রেসে আছি। আমি টিকিট পাইনি তো কী হয়েছে, আমার দাদা আমার জন্য করেছিল, আমি এতেই খুশি।'
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, 'পার্থ মিত্র তৃণমূল কংগ্রেসে ছিল, একনও আছে, তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকবে, এতে কোনও বিভ্রান্তি নেই। ও দলের হয়ে অন্যান্য কাজ করবে।'
তবে, শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এই নরম সুর ছিল না পার্থর গলায়। টিকিট না পেয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। বলেছিলেন যে, 'দশ বছর তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছি। আমার এলাকায় এসে দেখে যান, কোনও খুঁত আছে কি না। এরপরও তৃণমূল কী জন্য টিকিট দিল না। দুপুর তিনটে পর্যন্ত বলেছিল আমিই পার্থী। না হলে আমার ছেলে বা দলের অন্য ছেলেদের টিকিট দিত। মনে হয় বড় খেলা আছে। নির্দল হয়ে দাঁড়ালে অনেক সময়ের ব্যাপার। তাই আমি কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কংগ্রেসের হয়েই লড়ব।'
পার্থর এই বিদ্রোহে আগে আমল দেননি ফিরহাদ হাকিম। বলেছিলেন যে, 'সিটিং কাউন্সিলর যাঁরা টিকিট পাননি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে তাঁরা জনসমর্থন হারিয়েছে। তাই বাদ পড়েছে। এঁদের ধরে ধরে কংগ্রেস প্রার্থী করছে। সাইড লাইনের প্লেয়ার নিয়ে কী যুদ্ধে জেতা যায়? তবে যাঁরা দলবদল করে যাচ্ছেন তাঁদের অবস্থা আবার বিধানসভা ভোটের পর দলবদলুদের মতো না হয়।'
এরপরই কংগ্রেস প্রার্থী রবিবার সককালে ঘোষণা করেন তিনি তৃণমূলের রয়েছেন।
আরও পড়ুন- রবিবাসরীয় প্রচার জমজমাট, বাড়ি-বাড়ি ঘুরে জনসংযোগ ফিরহাদের, প্রচারে বাবুল
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন