সদ্য শেষ হয়েছে গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। আর, এই নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন থেকেই ২৪-এর কথা ভাবা শুরু করে দিল বিজেপি। সূত্রের খবর, দলের অভ্যন্তরে নেতাদের আলোচনায় এখন চলছে বিশ্লেষণ। এই ভাবনার মূলে একটাই বিষয়। তা হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই হলেন বিজেপির নির্বাচনের ট্রাম্প কার্ড। এবারের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনই শুধু নয়। এনিয়ে সাতবার বিজেপি যে গুজরাটে ক্ষমতায় এল, তার প্রধান কারণ যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই, তাকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেকথা মাথায় রেখেও বিজেপির পর্যবেক্ষকরা মনে করতে শুরু করেছেন যে শুধু মোদীই যথেষ্ট নন। তার সঙ্গে আরও কিছু চাই। যা জয় নিশ্চিত করবে। এমনটাই সূত্রের খবর। এই ভাবনার কারণ, হিমাচল প্রদেশে মোদীকে সামনে রেখেই প্রচার চলেছিল। তার পরও কিন্তু, পার্বত্য রাজ্যে বিজেপি জিততে পারেনি। পাঁচ বছরের ব্যবধানে হিমাচলে সরকার পরিবর্তনের রেজয়াজ ধরে রেখেই কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু, গুজরাটে ব্যাপারটা একেবারেই উলটো হয়েছে। দলের প্রবীণ নেতাদের এখানেই আশঙ্কা। কারণ, গুজরাটবাসী মোদীকে দেখেই এবারও বিজেপির ঝোলা ভরিয়ে দিয়েছেন।
মোদীর জনপ্রিয়তা, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস, মোদীর প্রভাবিত করার ক্ষমতা- এগুলোই বিজেপির বেশ কয়েক বছর ধরে সম্পদ হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে গুজরাটে তো বটেই। মোদি-ম্যানিয়া আসলে যেন গুজরাটবাসীর আবেগের বন্ধন। যার ফল পড়েছে ইভিএমে। এই মোদী ম্যাজিক বা মোদী-ম্যানিয়া কাজ করেছে, কারণ গুজরাট প্রধানমন্ত্রী নিজের রাজ্য। তিনি দীর্ঘদিন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। সেই কারণে, বিরোধীরা মোদীর বিরুদ্ধে প্রচার চালালেও তা গুজরাটে উলটো কাজ করেছে। মানুষ আরও বেশি করে বিজেপিকেই ভোট দিয়েছেন। এমনটাই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব
আরও পড়ুন- কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং আগেই ভারতভুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কেন ফিরিয়েছিলেন নেহরু?
হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস নেতারা এই নির্বাচনে পুরোনো পেনশন প্রকল্পে ফিরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যা নির্বাচনে বেশ ভালো প্রভাব ফেলেছে বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। পাশাপাশি, উঠে আসছে প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোটের কথা। সেই হিসেবে হিমাচল প্রদেশের চেয়ে গুজরাটে বিজেপি বেশিদিন ক্ষমতায় থেকেছে। প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট তাই গুজরাটে বেশি পড়ার কথা ছিল। কিন্তু, তা হিমাচল প্রদেশে পড়েছে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
Read full story in English