Advertisment

'দলের লোকেরাই ভোটে হারানোর চেষ্টা করছে', বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

'মুখ্যমন্ত্রী যখন বাংলার উন্নয়ের কথা বলছেন তখন দলেরই একাটা অংশ তলায় তলায় সেই উন্নয়ের কাজ আটকে রাখতে চাইছেন।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দলের বিরুদ্ধে ফের সরব উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। রাজ্যের শাসক দলেরই একাংশ তাঁকে ভোটে হারানোর চেষ্টার মরিয়া বলে অভিযোগ তাঁর।

Advertisment

কী অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের?

কয়েকদিন আগেই টিম পিকে-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিষদগার করলেন তিনি। এমনকী তাঁকে ভোটে হারাতে দলেরই একাংশ চক্রান্ত করছে বলে তোপ দাগেন। নিশানা করেন কানাইপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান আচ্ছেলাল যাদবকে।

বিধায়কের অভিযোগ, 'কোন্নগর স্টেশন থেকে দিল্লি রোডের সংযোগকারী রাস্তাটি গত ১ বছর ধরে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে। কানাইপুর থেকে নবগ্রামের অংশটির অবস্থা খুবই খারাপ। দিদিকে বলোয় ফোন করেছি, কাজ হয়নি। দুয়ারে সরকারে জানিয়েছি, তাতেও কাজ হয়নি। তার পর আমি বীতশ্রদ্ধ হয়ে মুখ খুলছি'

একপরই কানাইপুর গ্রামপঞ্চায়েত পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছেলাল যাদবের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রবীরবাবু বলেন, ‘আমার বলার পর কেএমডিএ-র মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে আমারই দলের একজন পঞ্চায়েত প্রধান অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমার কথায় কেন ইঞ্জিনিয়ার রাস্তা মেরামতিতে উদ্যোগী হয়েছেন তা নিয়েও তাঁকে কথা শুনিয়েছেন।'

আরও পড়ুন : মমতার ‘স্পিরিটে’ মুগ্ধ, তৃণমূলে যোগ প্রাক্তন সিএবি সচিবের

শেষে তৃণমূল বিধায়কের দাবি, ‘আমার কাছে দলের লোকেরা এসেই বলছে যে, আপনাকে ভোটে হারিয়ে দেওয়া হবে বলে এই কাজটা ফেলে রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন বাংলার উন্নয়ের কথা বলছেন তখন দলেরই একাটা অংশ তলায় তলায় সেই উন্নয়ের কাজ আটকে রাখতে চাইছেন।'

তৃণমূল মুখপাত্র হওয়া সত্ত্বেও মুখ খোলায় তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর হুগলি জেলা সফর নিয়েও দলের তরফে কোনও কিছু জানানো হয় হচ্ছে না বলে দাবি বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের।

অবশ্য বিধায়কের বিরুদ্ধে পালটা মুখ খুলেছেন কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছেলাল যাদব। তিনি বলেন, 'উনি প্রথমে টিকিট তো টিকিট পাবেন, তার পরে তো হার-জিত। গত ৫ বছরে উনি কানাইপুরে ওনার বিধায়ক তহবিলের ১ টাকা খরচ করেননি। ওনার কী পারফর্ম্যান্স এলাকার মানুষ জানে। পঞ্চায়েত প্রধানের কত ক্ষমতা যে উনি আজ আমাকে জ্ঞান দিচ্ছেন? পুরো এলাকাটাকে নষ্ট করে ভেবেছিলেন অন্য কোনও দলে গিয়ে হয়তো নিজের ব্যবস্থাটা করবেন।'

সাংসদ শতাব্দী রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দলে রাখতে সক্ষম হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু দলের মুখপাত্রই বারংবার 'বেসুরো' হওয়ায় ভোটের আগে অস্বস্তি বাড়ল শাসক শিবিরের।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc Mamata Banerjee
Advertisment