/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/10/mamata-prashant-rahul.jpg)
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, রাহুল গান্ধী
লখিমপুর নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল টানাপোড়েন আগেই লক্ষ্য করা গিয়েছিল। শুরুতেই রাহুল গান্ধীর প্রশ্নে বিজেপি-তৃণমূল আঁতাঁতের গন্ধ ছিল। জবাব দিয়েছিলেন 'দিদি'। হাত শিবিরের আন্দোলনকে লঘু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, লখিমপুরের নিহত কৃষকদের পাশে বুদ্ধি করে সবার আগে পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূলই।' জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী জোট গঠনের প্রয়াস হলেও কংগ্রেসকে ছাপিয়ে আসল বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে মরিয়া জোড়া-ফুল ব্রিগেড। ফলে কংগ্রেসকে ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছেন মমতা-অভিষেকরা। এবার সেই পথই যেন আরও মসৃণ করার কাজে নামলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। কড়া বার্তা দিলেন দেশের শতাব্দী প্রাচীন রাজনীতিক দলটিকে। সাফ জানালেন, লখিমপুরে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার আন্দোলন নিয়ে যাঁরা মনে করছেন কংগ্রেস ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারে তাঁদের সেই আশায় বালি। কারণ, কংগ্রেসের সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এর কোনও তাৎক্ষণিক সমাধান নেই।
টুইটারে কী লিখেছেন প্রশান্ত কিশোর?
লখিমপুরকাণ্ডের পরই 'দাদা-বোন' আসরে। প্রিয়াঙ্কাকে আটকের পর গ্রেফতার করা হয়। আর রাহুলকে প্রথমে লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়া হলেও পরে তাতে ছাড় দেয় যোগী প্রশাসন। বিরোধী শিবিরের একাংশের মতে, কংগ্রেসের আচমকাই তেড়েফুড়ে ওঠার কারণেই চাপে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার। তাই তাঁকে লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে উজ্জীবিত হবে দলের কর্মীরা।
টুইটারে বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ, কংগ্রেসকে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি’ বলেই উল্লেখ করেছেন এই ভোট কুশলী।প্রশান্ত কিশোর টুইটে এই ধারণা 'ভুল' বলে দাবি করেছেন। লিখেছেন, 'যাঁরা মনে করছেন লখিমপুরকাণ্ডের পর শতাব্দী প্রাচীন দলটি ঘুরে দাঁড়াবে তাঁদের জন্য হতাশা অপেক্ষা করছে। দুর্ভাগ্যজনক শতাব্দী প্রাচীন দলটির সমস্যার শিকড়-কাঠানোগত দুর্বলতা অনেক গভীরে, আর এর কোনও তাৎক্ষণিক সমাধান নেই।'
People looking for a quick, spontaneous revival of GOP led opposition based on #LakhimpurKheri incident are setting themselves up for a big disappoinment.
Unfortunately there are no quick fix solutions to the deep-rooted problems and structural weakness of GOP.— Prashant Kishor (@PrashantKishor) October 8, 2021
অগস্টেই শোনা যাচ্ছিল যে কংগ্রেসে যোগ দেবেন প্রশান্ত কিশোর। রাহুল সহ দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বৈঠকও হয়। এমনকী আলোচনা হয় সনিয়া-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গেও। তাঁর দেখানো পথেই সংগঠনকে ঢেলে সাজাবারও পরিকল্পনা করা হচ্ছিল বলে খবর। তার মধ্যেই হাত শিবিরকে হঠাৎই আক্রমণ শানালেন প্রশান্ত। রানৈতিকভাবে যার গভীর তাৎপর্যবাহী।
গত দু'মাসে রাজনৈতিক পরিষর অনেক বদলে গিয়েছে। কংদগ্সেরে সঙ্গে কথা চললেও ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই ব্যাট ধরেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোর তৃণমূলে যোগদানের নেপথ্যেও ভূমিকা ছিল এই ভোট কুশলীরই। এর আগেই কংগ্রেস ছেড়ে বাংলার শাসক দলে যোগ দেন সুস্মিতা দেব।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে থাকে আদৌ কী হাত শিবিরকে শক্তিশালী করতে আগ্রহী প্রশান্ত? তার মধ্যেই শুক্রবার হঠাৎই রাহুলের কংগ্রেসকে নিশানা করলেন ভোট কুশলী।
এই ঘটনাকে আমল দিতে নারাজ একাধিক কংগ্রেস নেতৃত্ব। কেউ বলছেন, এই মন্তব্য প্রশান্ত কিশোরের 'হতাশার বহিপ্রকাশ'। আবার কেই বলছেন 'ওঁর সব কথায় আমল দেওয়ার মানে নেই।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন