Assembly Election 2022: বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কুশলী হিসেবে সফল প্রশান্ত কিশোর বা পিকে। বছর ঘুরলেই পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। সেই রাজ্যে কংগ্রেসের ভোট কুশলীর দায়িত্ব নিয়েছেন পিকে। কিন্তু পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বনাম নভজ্যোত সিধুর ঝগড়া উদ্বেগ বাড়িয়েছে হাইকমান্ডের। পাশাপাশি উত্তর প্রদেশে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। সম্ভবত এবার তাই এই দুই রাজ্যের ভোট ভবিষ্যৎ স্থির করতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করলেন পিকে। কংগ্রেস সাংসদের বাসভবনে প্রবীণ নেতা কেসি বেনুগোপাল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপিস্থিতিতে এই বৈঠক হয়েছে।
২০২২-এর প্রথমে ৫ রাজ্যের ভোট প্রস্তুতিতে রাহুল-পিকে-প্রিয়াঙ্কার এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। এমনটাই মনে করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশে একা লড়বেন মায়াবতী। ইতিমধ্যে সেই ঘোষণা করেছেন বহেনজি। ছোট ছোট দলকে নিয়ে একটি ফ্রন্ট গড়ে ভোট লড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। এই সমীকরণকে কাজে লাগিয়ে ইউপিতে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টিকে ছাপিয়ে বিজেপি-র প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসতে চাইছে কংগ্রেস। সেই কারণেই কি রাহুলের পাশপাশি সে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিয়ঙ্কার সঙ্গেও বৈঠক করলেন পিকে? এভাবেই বাড়ছে জল্পনা।
যদিও ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে থেকে পিকে-কংগ্রেস, বিশেষ করে পিকে-রাহুল দূরত্ব বেড়েছিল। গত সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের ভোট বিপর্যয়ে সেই দুরত্ব আরও চওড়া করে। বাংলার আগে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আনার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল পিকে-র। পঞ্জাবে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস। কিছুদিন আগে ক্যাপ্টেনের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন প্রশান্ত। তাঁর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের।
বিজেপি বিরোধী মহাজোটের লক্ষ্যে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বারবার প্রশান্তের এই বৈঠক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ইতিমধ্যে আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব ইগো সরিয়ে বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে একজোট হতে আহ্বান জানিয়েছেন। মোদী-বিরোধী ফ্রন্ট গঠনে বিশেষ উদ্যোগ নিতে মমতা এবং পাওয়ারকে আমন্ত্রণ জানান লালু-পুত্র।
এই পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেসকে সুত্রধর করে ২০২৪-এর আগে বিজেপি-বিরোধী মঞ্চকে দিনের আলো দেখানো সম্ভব কি? সম্ভবত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই রাহুলের বাস ভবনে বৈঠক করলেন পিকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন