রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পাকা বাড়ি দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে চিঠি বিজেপি নেতার। আর সেই চিঠির কপি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক চর্চা।
আসলে, কিছু দিন আগে, রায়পুরে কংগ্রেসের ৮৫ তম সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন, রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে "আমার বয়স ৫২ বছর, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমার থাকার জন্য একটি বাড়িও নেই"। এর পরিপ্রেক্ষিপ্তে ছত্তিশগড়ের বিজেপি নেতা দেবদাস চতুর্বেদী প্রশাসনের কাছে লেখা এক চিঠিতে রাহুল গান্ধীকে সরকারি জমি বরাদ্দের অনুরোধ জানান। চিঠিতে বিজেপি নেতা লিখেছেন, "তাকে জমি বরাদ্দ করতে রাহুল গান্ধীর মতো একজন দরিদ্র ব্যক্তি একটি পাকা বাড়ি অন্তত পাবেন এবং রাহুল গান্ধীর স্বপ্নও পূরণ হবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের এই প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার এক উদ্দেশ্য পূরণ হবে। "
বিজেপি নেতার লেখা এই চিঠি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। দেবদাস চতুর্বেদী তফসিলি জাতি ফ্রন্টের সভাপতি এবং নওয়াগড় জেলার প্রাক্তন সহ-সভাপতি। দেবদাস প্রশাসনের কাছে একটি চিঠিতে লিখেছেন যে প্রাক্তন জাতীয় কংগ্রে সভাপতি এবং সাংসদ রাহুল গান্ধী ২৪ থেকে ২৬ শে ফেব্রুয়ারি ছত্তিশগড় সফরের সময়, তিনি তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন ৫২ বছর বয়সেও আমার নিজস্ব কোন স্থায়ী বাড়ি নেই যেখানে আমি থাকতে পারি। সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিপ্তে আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করছি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে সরকারি জমি বরাদ্দ করা হোক, যাতে তাঁর মত এক দরিদ্র মানুষের স্বপ্নপূরণ হয় সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার উদ্দেশ্যেও পূরণ হয়।
ছত্তিশগড় বিজেপির তরফে প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে নওয়াগড় নগর পঞ্চায়েত এলাকার সম্বলপুর রোডে সরকারি জমির ২.৫০ ডেসিমেল রাহুল গান্ধীর নামে বরাদ্দ করা হোক। যাতে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার সুবিধা পেতে পারেন। ছত্তিশগড় বিজেপির তরফে তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে চিঠি্র একটি কপি শেয়ার করা হয়েছে।
ছত্তিশগড় বিজেপি এই চিঠিটি টুইটারে টুইট করেছে এবং লিখেছে যে “ছত্তিশগড়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী যখন অসহায়ভাবে বললেন যে তার নিজের থাকার মত একটাও বাড়ি নেই, তখন ছত্তিশগড়ের সংবেদনশীল লোকেরা তাঁকে জমি দান করতে এগিয়ে এসেছেন”।
যদিও এই ঘটনায় পাল্টা জবাব দিয়েছে ছত্তিশগড় কংগ্রেস। কংগ্রেসের মুখপাত্র ধনঞ্জয় ঠাকুর বলেছেন, “বিজেপির অন্য কোন ইস্যু নেই। বিজেপি নেতারা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন । তাদের উচিত জনগণের মাঝে গিয়ে তাদের সমস্যাগুলি দেখা। রান্নার গ্যাসের আকাশছোঁয়া দাম, দেশে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনীতির বেহাল অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা। তা না করে তারা অযথা ফালতু ইস্যুতে রাজনীতি করছেন”।