Uttar Pradesh: দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার বারানসী সফরে প্রধানমন্ত্রী। এদিন নিজের লোকসভা কেন্দ্রের একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টিকে নাম না করে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিজেপির ডিকশনারিতে সব কা সাথ, সব কা বিকাশ। আর কয়েকজনের ডিকশনারিতে মাফিয়াবাদ এবং পরিবারবাদ।‘
১৩ ডিসেম্বর কাশী-বিশ্বনাথ করিডর উদ্বোধনে বারানসী এসেছিলেন তিনি। সেদিন রীতিমতো গঙ্গাস্নান করে মন্দিরে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। দুই দিনের সেই সফরে মধ্য রাতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে বারানসী স্টেশন ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, মোদি যখন সপা এবং কংগ্রেসকে বিঁধছেন তখন অযোধ্যা জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সরব প্রিয়াঙ্কা। তিনি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁসে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবি করেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশে চলা তদন্তে সঠিক অভিযুক্তরা সাজা পাবেন না। এমন অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেত্রী।‘
তাঁর যুক্তি, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাম মন্দির ট্রাস্ট তৈরি হয়েছে। তাই শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হোক কারণ জেলাশাসক পদের কর্তারা মেয়রকে গ্রেফতার করতে পারবেন না।‘ এদিকে, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সুপ্রিম রায়ের পর গত দুবছরে জমি কেলেঙ্কারির খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত হতেই একের পর এক বিরোধী দল নিশানা করেছে বিজেপিকে। এবার শিবসেনা তাদের দলীয় মুখপত্রে বিজেপি এবং তাঁর হিন্দুত্ব এজেন্ডাকে আক্রমণ করল। জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে বিজেপিকে চোরবাজার বলে তোপ দেগেছে শিবসেনা।
বৃহস্পতিবার মুখপত্র সামনা-তে সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, বিজেপির হিন্দুত্ব হল চোরবাজারের সমান। এটা দিন দিন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর অযোধ্যার জমি কেলেঙ্কারি সেই চোরবাজারের অংশ। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক রায়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার পর থেকে রাম জন্মভূমির জমি মহার্ঘ হয়ে উঠেছে। কার্যত রিয়েল এস্টেটের ব্যবসার জায়গা হয়ে উঠেছে অযোধ্যা। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট গঠিত হয়। এখনও পর্যন্ত যা ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে।
কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ব্যক্তিগত মালিকানায় জমি কেনার ধুম পড়ে যায় অযোধ্যায়। সেই দলে বিধায়ক থেকে মেয়র, উপ জেলাশাসক, পুলিশ কর্তা, সরকারি আধিকারিকরাও রয়েছেন। বিধায়কদের আত্মীয়, আমলা এবং তাঁদের স্বজন, স্থানীয় সরকারি আধিকারিকরাও জমি কিনেছেন অযোধ্যায়। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিধায়ক, মেয়র, ওবিসি কমিশনের সদস্য নিজেদের নামে জমি কিনে আত্মীয়দের দিয়েছেন। এমন ১৪টি কেস সামনে এসেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্তে। দেখা গিয়েছে, শীর্ষ আদালতের রায়ের পর আধিকারিকদের পরিবারের সদস্যরা প্রস্তাবিত রাম মন্দির নির্মাণের ৫ কিমির মধ্যে একের পর এক জমি কিনেছেন।
স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে মহর্ষি রামায়ণ বিদ্যাপীঠ ট্রাস্টের বিরুদ্ধে। কারণ, পাঁচটি কেসের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, জমির বিক্রেতা এই ট্রাস্ট। দলিত গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জমি কিনেছেন ওই সরকারি আধিকারিকরা, তার পর তা আত্মীয়দের দিয়ে দিয়েছেন। অযোধ্যায় জমির রেকর্ড, প্লটে গিয়ে খতিয়ে দেখে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তদন্ত করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন