কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, ১১৩ আসনের সীমা অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে শনিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দলকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য জনগণকে শুভেচ্ছা।' প্রধানমন্ত্রী ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে, 'আগামী দিনে আরও জোরালোভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।'
কংগ্রেস কর্ণাটকের ২২৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৬টিতে জিতেছে বা এগিয়ে ছিল। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য বিজেপির প্রয়োজন ছিল ১১৩ আসন। বিজেপি পেয়েছে ৬৪ আসন। ২০১৮ সালে তারা পেয়েছিল ১০৪টি আসন। তার চেয়ে ৪০টি আসন কম। অন্তত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট তাই বলছে। এই রিপোর্ট দাখিলের সময় নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুসারে, জেডি (এস)- যারা এবার কিংমেকার হওয়ার আশা করেছিল, তারা ২০টি আসনে এগিয়ে ছিল। যা তাদের গতবারের প্রাপ্তি থেকে ৩৭টি আসন কম।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কর্ণাটকের জনগণকে 'ঘৃণার বাজার বন্ধ করা' এবং 'ভালোবাসার দোকান খোলার' জন্য ধন্যবাদ জানানোর পরেই প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর বার্তাটি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আমি খুশি যে আমরা ঘৃণা, খারাপ ভাষা ব্যবহার না-করে কর্ণাটকের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আমরা ভালোবাসা দিয়ে নির্বাচনে লড়েছি। কর্ণাটকে, নফরত কা বাজার (ঘৃণার বাজার) বন্ধ হয়ে গেছে এবং মোহাব্বত কি দুকানে (ভালোবাসার দোকান) খুলেছে।'
আরও পড়ুন- হাতের দখলে কর্ণাটক, কোন জোরে বিজেপির থেকে কুর্সি হাতাল কংগ্রেস?
নির্বাচনে গোটা বিষয়টিকে একটি তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে দেখা হয়েছে। যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বজরং দল, বজরংবলীর মত বিষয়গুলো প্রচারে উঠে এসেছে। একইসঙ্গে প্রচারে উঠে এসেছে দুর্নীতি এবং ওবিসি মুসলমানদের জন্য বিজেপির ৪ শতাংশ আসন সংরক্ষণ বাতিলের মত তীব্র বিতর্ক এবং হিজাবের মত বিষয়গুলোও। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, দক্ষিণের রাজ্যে কংগ্রেসের এই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিজয় বেঙ্গালুরু থেকে বিকানের এবং রাঁচি থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত সারা দেশে তাদের কার্যালয়গুলোয় উদযাপন করা হয়েছে। পার্টিকর্মীরা ঢোলের তালে নেচেছেন। আতশবাজি ফাটিয়ে আনন্দ করেছেন।