শাহিনবাগের বিক্ষোভ নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে সোমবার মোদী বললেন, ‘‘জামিয়া, শাহিনবাগের আন্দোলনের নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে। দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত এটা’’। একইসঙ্গে এ ইস্যুতে দিল্লি ভোটের মুখে আপ ও কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদীর তোপ, ‘‘আপ ও কংগ্রেস উস্কানিমূলক আচরণ করছে’’।
ঠিক কী বলেছেন নরেন্দ্র মোদী?
দিল্লির কড়কড়ডুমার সভায় প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘এইসব আন্দোলনের পিছনে একটা রাজনৈতিক নকশা রয়েছে। যদি একটি আইনের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ চলত, তাহলে সরকারের আশ্বাসের পর তা শেষ হত। কিন্তু আপ ও কংগ্রেস উস্কানিমূলক আচরণ করছে’’। নমো আরও বলেন, দেশকে টুকরো টুকরো করতে চায় যারা, তাদের রক্ষা করছে। যারা রক্ষা করছে, তারাই ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এরপরই মোদী বলেন, ‘‘সীলমপুর হোক, কী জামিয়া বা শাহিনবাগ, গত কয়েকদিন ধরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। এটা কি শুধুই কাকতালীয়? না, এটার পিছনে রাজনীতি রয়েছে’’।
আরও পড়ুন: সিএএ বিক্ষোভের পর অবশেষে আসাম সফরে মোদী
src="https://www.youtube.com/embed/LkTWyYbjqfY" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
উল্লেখ্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। প্রথম থেকেই শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের টার্গেট করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। এই আবহে জামিয়ার পর শাহিনবাগে বিক্ষোভস্থলে গুলি চালানোর ঘটনা নয়া মোড় নেয়। এর আগে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সিএএ বিক্ষোভ চলাকালীন প্রকাশ্যে গুলি চালায় এক ‘নাবালক’।এ ঘটনায় জখম হন এক পড়ুয়া। তাঁর হাতে আঘাত লাগে বলে জানা যায়। সেদিনের ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ওই বন্দুকধারীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এই নাও আজাদি…হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ…দিল্লি পুলিশ জিন্দাবাদ’’। ওই বন্দুকবাজকে ইতিমধ্যেই আটক করে নিরাপদ হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার সময় অকুস্থলে ছিল দিল্লি পুলিশ। পুলিশের সামনেই কীভাবে গুলি চালানো হয়, সে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে।
Read the full story in English