স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে স্বচ্ছ ভারত মিশনের সাফল্যের দাবি করতে গিয়ে সামান্য একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদী। তিনি এদিন বলেন, এই প্রকল্প রূপায়ণের ফলে তিন লক্ষ শিশু প্রাণে বেঁচেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এ মাসের গোড়ায় এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশংসাবারি ঝরে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রীর অতি আপন স্বচ্ছতা প্রকল্পের ওপর। তবে তাতে বলা ছিল, ২০১৯-এর মধ্যে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ রূপায়িত হলে তিন লক্ষ শিশু মৃত্যু এড়ানো যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য ছিল, ‘‘নিরাপদ শৌচ পরিষেবার ব্যাপারে ভারতের দায়বদ্ধতার প্রশংসা করছে হু, আশা করা হচ্ছে অক্টোবর ২০১৯-এর মধ্যে এই প্রকল্প ১০০ শতাংশ বাস্তবায়িত হবে, যার ফলে ডায়ারিয়া এবং প্রোটিন শক্তির অভাবে তিন লক্ষ শিশুমৃত্যু এড়ানো সম্ভব হবে।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকে স্বচ্ছ ভারত মিশন শুরু হয়েছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘স্বচ্ছ ভারত মিশনের জেরে তিন লক্ষ শিশুমৃত্যু এড়ানো গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।’’
আরও পড়ুন, লাল কেল্লা থেকে, ২০১৯ এর উদ্দেশ্যে
স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্রামীণ, এই প্রকল্প নিয়ে হু এক সমীক্ষা চালিয়েছে। তার প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে, স্বচ্ছ ভারত মিশন চালুর আগে বাড়ি বাড়ি শৌচাগার তৈরির কাজের বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছে অনেকটাই। আগে এই বরাদ্দের হার ছিল ২ শতাংশ। ২০১৬-১৮-র মধ্যে ওই বরাদ্দ বার্ষিক ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে হু-এর বিবৃতিতে স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা সবই ভবিষ্যৎকালের নিরিখে।
হু-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, শৌচাগার প্রকল্প নিয়ে ভারতের ক্রমবর্ধমান দায়বদ্ধতা (যা এই সমীক্ষার অন্তর্ভুক্ত নয়) বৃহত্তর স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পুষ্টির ক্ষেত্রে উন্নতি এবং জলবাহিত রোগ ও ও শ্বাসের সংক্রমণের হ্রাস। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বদল এবং বিশুদ্ধ জলপানের সুযোগ স্বাস্থ্যের বৃহত্তর ক্ষেত্রে সুপ্রভাব ফেলবে।