মমতার ব্রিগেড সভাকে নিশানা করে এবার সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবারের ব্রিগেড সভাকে ‘দুর্নীতি, নড়বড়ে জোটের’ শো বলে কটাক্ষ করলেন মোদী। গোয়ায় দলের বুথস্তরের কর্মীদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় মোদী বলেছেন, ‘‘দুর্নীতির মহাজোট নড়বড়ে। ২০১৯ সালের ভোটে বিরোধীরা হারবে এটা বুঝতে পেরেছে, তাই ওরা নানা অজুহাত খুঁজছে। ওদের ধনশক্তি রয়েছে, আমাদের জনশক্তি রয়েছে।’’ বিরোধীদের জোট প্রসঙ্গে মোদী আরও বলেছেন, ‘‘ওঁরা একে অপরের সঙ্গে জোট করেছেন। দেশের ১২৫ কোটি মানুষের সঙ্গে আমাদের জোট রয়েছে।’’
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে মোদী সরকারকে হঠাতে বিরোধীদের একজোট করতে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতেই শনিবার ‘ব্রিগেড চলো’-র ডাক দিয়েছিলেন মমতা। তৃণমূলনেত্রীর ব্রিগেড মঞ্চ ছিল কার্যত বিজেপি বিরোধী মঞ্চ। একঝাঁক বিজেপি বিরোধী নেতাদের একমঞ্চে এনে মোদী-শাহদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে কার্যত যেন উনিশের ভোটের লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন মমতা। তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, ‘‘দেশের মানুষকে বাঁচাতে এই মহাজোট তৈরি করা হয়েছে। দেশের স্বার্থে সবাই একজোট হয়েছেন।’’ মোদী সরকারের ‘এক্সপায়ারি ডেট এসে গেছে’ বলেও তোপ দাগেন মমতা।
আরও পড়ুন, মমতার ব্রিগেড সভায় উপস্থিত ‘রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা’, কটাক্ষ বিজেপির
শনিবার ব্রিগেড সভা চলাকালীনই বিরোধীদের বিঁধে বিজেপি নেতা রাজীবপ্রতাপ রুডি বলেছিলেন, ‘‘এই মহাজোটে শঙ্কিত নয় বিজেপি।’’ মমতার ব্রিগেড মঞ্চকে ‘সুবিধাবাদীদের মঞ্চ’ বলেও কটাক্ষ করেন রুডি।
অন্যদিকে, ভোটের মুখে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ নীতি নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘বিরোধীরা বলেছে, লোকসভা ভোটের ফায়দা তুলতে আমি এটা চালু করেছি। কিন্তু দেশে সবসময় একটা না একটা ভোট থাকে। এটা যদি আমি কয়েক মাস আগে চালু করতাম, তাহলে ওরা বলত, ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফায়দা নিতে করেছি।’’
Read the full story in English