মঙ্গলবার মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে মতুয়া ধর্মমেলায় ভার্চুয়াল-বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে নাগরিকত্ব আইন বা মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে একটা বাক্যও বললেন না মোদী। যার ফলে সিএএ-র ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্ধকার। বাংলায় আদৌ কার্যকর হবে কি না, হলে সেটা কবে হবে তারও উত্তর অধরাই থেকে গেল।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের দাবি, "সিএএ কার্যকর হবেই। এতদিন ধরে করোনা-লকডাউন ছিল। আমি প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। ২০২৪-এর মধ্যেই হবে।" এবার মতুয়াদের মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে নাগরিকত্বের জন্য, তাহলে কি সিএএ ভোটে জেতার হাতিয়ারই হয়ে থাকবে?
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে সংসদের দুই কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়। পরের বছর জানুয়ারি মাসে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর তা আইনে পরিণত হয়। কিন্তু তার রুলিং এখনও জারি হয়নি। বার বার পিছিয়েছে সেই প্রক্রিয়া। সংসদেও একাধিক বার সময় চেয়েছে কেন্দ্র। কখনও করোনা, কখনও অন্য কারণ দেখিয়ে।
আরও পড়ুন হিংসা, দুর্নীতি ও সমাজে জাতিভেদ- মতুয়া মঞ্চে গর্জে উঠলেন মোদী
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ঠাকুরনগরের সভা থেকে অমিত শাহ আশ্বাস দিয়েছিলেন, টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলেই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে। ওই বছরই জুলাই মাসে সংসদে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ জানতে চান, নাগরিকত্ব আইনের কাজ কতদূর এগিয়েছে, কবে থেকে এর নিয়ম-নীতি ঠিক করতে আরও ৬ মাস লাগবে। সেই সময়সীমাও পার হয়ে গেছে।
চলতি বছর ৯ জানুয়ারি ফের সময় চায় কেন্দ্র। সিএএ নিয়ে ঠাকুরবাড়ির আরেক সদস্য মমতাবালা ঠাকুর বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী তো সিএএ নিয়ে কিছুই বলেন না। বোঝাই যাচ্ছে, মতুয়াদের সঙ্গে মিথ্যাচার হচ্ছে। শান্তনু ঠাকুর ভাঁওতা দিচ্ছে। যদি কেন্দ্রের সদিচ্ছা থাকত তাহলে এতদিনে সিএএ কার্যকর হত। এটা শুধুই এখন রাজনীতির হাতিয়ার।"