মধ্যপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বুথকর্মী সম্মেলেন তিন তালাক প্রসঙ্গ টানলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার তিনি এই প্রসঙ্গে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)র গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে ভোপালে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকে নানা কর্মসূচির মারফত তিনি প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন। এমনটাই দাবি বিজেপির। এদিন মধ্যপ্রদেশের উপজাতি অধ্যুষিত জেলায় প্রধানমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি কর্মসূচি ছিল। কিন্তু, প্রবল বৃষ্টির জন্য তার মধ্যে কয়েকটি বাতিল করতে হয়। তার মধ্যেই রানি কমলাপতি রেল স্টেশনে পাঁচটি বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর পাশাপাশি, 'মেরা বুথ, সবসে মজবুত' কর্মসূচিতে বক্তৃতা করতে গিয়ে মোদী তিন তালাক ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, 'আজ আমরা দেখছি কীভাবে মানুষ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির নামে অন্যদের উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। একটি পরিবারের একজন সদস্যের জন্য একটি আইন এবং একটি পরিবারের অন্য সদস্যের জন্য অন্য আইন থাকলে, সেই পরিবারটি কি সুচারুভাবে চলতে পারে? কীভাবে একটি দেশ এই ধরনের দ্বৈত ব্যবস্থায় কাজ করবে? আমাদের মনে রাখতে হবে যে ভারতীয় সংবিধানও নাগরিকদের সমান অধিকারের কথা বলে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই লোকজন, যাঁরা আমাদেরকে অভিযুক্ত করে… তাঁরাই হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। তাঁরা যদি প্রকৃতই মুসলমানদের কল্যাণের কথা চিন্তা করত, তাহলে মুসলিম ভাই ও বোনেরা শিক্ষা ও চাকরিতে পিছিয়ে থাকত না। তাঁরা কষ্টের জীবন যাপন করতে বাধ্য হতেন না। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, ইউনিফর্ম সিভিল কোড আনুন। কিন্তু, ভোটব্যাংকের রাজনীতির ক্ষুধার্ত লোকেরা আমাদের প্রান্তিক মুসলিম ভাই-বোনদের অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।'
আরও পড়ুন- ফের মহাবিপাকে কেজরিওয়াল, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহারের অভিযোগ শাহর মন্ত্রকের বিরুদ্ধে
বুথকর্মী রানি চৌরাসিয়া মোদীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কীভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তিন তালাক এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে ভুল ধারণা দূর করা যায়? জবাবে মোদী বলেন, 'আমাদের বোঝাতে হবে যে, যাঁরা তিন তালাকের পক্ষে কথা বলেন, এই ভোটের ক্ষুধার্ত ব্যক্তিরা মুসলিম কন্যাদের প্রতি চরম অবিচার করছেন। তিন তালাকের ক্ষতি শুধু কন্যাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর পরিধি আরও বেশি।'