অবশেষে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’-এর জবাব দিলেন মোদী। রাহুল গান্ধী, উদ্ধব ঠাকরেদের নাম না করে কটাক্ষের সুরে এদিন মোদী বলেছেন, যাঁরা টাকা লুঠ করছেন, তাঁরা আসলে দেশের ‘চৌকিদার’কে ভয় পাচ্ছেন, তাই এসব বলছেন। হিমাচল প্রদেশের সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে আরও বলেছেন, ‘‘যাঁদের লুঠ করার অভ্যেস রয়েছে, তাঁরাই এখন দেশের চৌকিদারকে ভয় পাচ্ছেন।’’ ‘চোর’ অপবাদের পাল্টা হিসেবে মোদী বলেছেন, এই চৌকিদার ওই চোরদের রেয়াত করবেন না।
উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই রাফাল ইস্যুতে মোদীকে কটাক্ষের সুরে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘চৌকিদার চোর হ্যায়।’’ রাহুলের সেই স্লোগানই আওড়ান এনডিএ শরিক শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। প্রধানমন্ত্রীকে ‘চোর’ অপবাদ দেওয়া নিয়ে শিবসেনাকে তুলোধনা করেছে আরএসএসের মারাঠা দৈনিক ‘তরুণ ভারত’।
আরও পড়ুন, ‘‘চৌকিদার চোর হলে, সরকার ছাড়ছে না কেন শিবসেনা?’’
অন্যদিকে, কৃষি ঋণ মকুব নিয়ে কংগ্রেসকে এদিন একহাত নিয়েছেন মোদী। হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায় একটি সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোদী বলেছেন, কৃষি ঋণ নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে কৃষিঋণ মকুব না হওয়া পর্যন্ত ‘মোদীকে শান্তিতে ঘুমাতে দেব না’ বলে কয়েকদিন আগেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন রাহুল। একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, শেষ পর্যন্ত যদি প্রধানমন্ত্রী ঋণ মকুব না করেন, সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেই কৃষিঋণ মকুব করবে। প্রসঙ্গত, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ে ক্ষমতায় ফেরার পরপরই কৃষি ঋণ মকুব করেছেন রাহুলরা।
কৃষি ঋণের পাশাপাশি ‘এক পদ এক পেনশন’ প্রকল্প নিয়েও রাহুল গান্ধীদের আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘৪০ বছর ধরে দেশের সৈনিকরা এক পদ এক পেনশনের দাবি করে এসেছিলেন। তৎকালীন সরকার আমাদের সেনাদের বোকা বানিয়েছিলেন। এজন্য মাত্র ৫০০ কোটি টাকা রেখেছিলেন। আমরা যখন ক্ষমতায় এলাম, ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছিলাম। আধিকারিকরা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন।’’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা বুঝেছিলাম, এজন্য দরকার ১২ হাজার কোটি টাকা। ১২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া সরকারের পক্ষে কঠিন ছিল। এরপরই সেনাদের বলি, ৪-৫ কিস্তিতে দেব, ওঁরা রাজিও হন। আজ আমি খুশি, আমরা ৪ কিস্তিতে দিয়েছিলাম।’’ মোদী এও জানিয়েছেন, হিমাচল প্রদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে, যার অঙ্ক ২৬ হাজার কোটি টাকা।