দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক আসনে জয়ী করে বিজেপির মুখ বাঁচিয়েছে গুজরাট। বৃহস্পতিবার তাই ফল ঘোষণার পর গুজরাটকে ধন্যবাদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর রাজ্যে ৮০ শতাংশের বেশি আসনে জয়ী হয়েছে পদ্ম ব্রিগেড। ১৮২ আসনের মধ্যে পেয়েছে ১৫৭টি আসন। এই নিয়ে টানা সাতবার গুজরাতের কুর্সিতে বসতে চলেছে বিজেপি।
আর, সেই কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার বার্তায় লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ গুজরাট। জনগণ দু’হাত দিয়ে উন্নয়ন আর প্রগতির রাজনীতিকে আশীর্বাদ করেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, উন্নয়নের গতি বাড়াতে হবে। গুজরাটের জনতার সামনে মাথানত করছি। দলের কার্যকর্তারাই প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া এই জয় সম্ভব ছিল না।’ মোদীর এই বক্তব্য যে গোটা দেশের বিজেপি কর্মীদের মধ্য়ে প্রাণ সঞ্চার করল, তা দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গেও। গুজরাটে দলের জয়ের আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেল বিজেপি কর্মীদেরকে।
শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া বার্তাই নয়। দিল্লিতে দলের সদর কার্যালয়ে কর্মীদের সামনে ভাষণ দিতে গিয়েও মোদীর বক্তব্যে ঘুরেফিরে এল গুজরাট। তিনি বললেন, ‘গুজরাট কামাল করে দিয়েছে। ভূপেন্দ্র যাতে নরেন্দ্রকে হারাতে পারে, সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।’ আগামী লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল হিসেবে এই গুজরাট নির্বাচনকে দেখে মোদীর বলেন, ‘দেশ সংকটে থাকলে, ভরসার নাম বিজেপি। গুজরাটের যুব সম্প্রদায় বিজেপিতে আস্থা রেখেছে। যাঁরা কংগ্রেসের বংশানুক্রমিক কুশাসন দেখেননি, সেই এক কোটি যুব ভোটারও বিজেপিতেই ভোট দিয়েছেন। কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।’
আরও পড়ুন- কলেজিয়াম নিয়ে টানাপোড়েন বাড়ল, রিজিজু-ধনখড়দের মন্তব্য খোলা মনে নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট
তবে, গুজরাটের এত বিপুল প্রশংসা করলেও, তাঁর মনে যে হিমাচলপ্রদেশের পরাজয় কাঁটার মত বিঁধছে, তা-ও যেন স্পষ্ট হয়ে উঠল মোদীর বক্তব্যে। সেই যন্ত্রণাকে কার্যত আড়াল করতে চেয়ে মোদী বললেন, ‘হিমাচল প্রদেশে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদল হয়। কিন্তু, এবার মাত্র ১ শতাংশের ব্যবধানে বিজেপি হেরেছে। এত কম ব্যবধানে হার-জিতের ফয়সালা আগে কখনও হয়নি। এতে হিমাচলের বাসিন্দাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা একচুলও কমবে না। আগামী দিনে আরও ভালো কাজ করতে হবে।’
Read full story in English