বিরোধীশূন্য লোকসভায় আস্থাভোটে জয়ী হল মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার অনাস্থা বিতর্কে বিরোধীদের 'অহংকারী' বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিবাদে কংগ্রেস লোকসভা কক্ষ ত্যাগ করে। এরপরই মণিপুরের প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যের শেষে ভোটাভুটি হয়। ধ্বনিভোটে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায় লোকসভায়।
বৃহস্পতিবার তাঁর বক্তব্যে মণিপুরের হিংসার ঘটনায় কংগ্রেসকে দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী। দু'ঘণ্টার বেশি সময় তিনি বক্তৃতা দেন।বৃহস্পতিবার অনাস্থা বিতর্কে অংশ নিয়ে মোদী বলেন, 'কংগ্রেসের নীতির জন্য আজ মণিপুরের এই দশা। কংগ্রেসের অতীতের নীতিতেই লুকিয়ে রয়েছে মণিপুর সমস্যার মূল কারণ।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা (কংগ্রেস) কখনও উত্তর-পূর্বের আবেগ বোঝার চেষ্টা করেননি। আমি (উত্তর-পূর্ব) ৫০ বার পরিদর্শন করেছি। এটি কেবল একটি তথ্য নয়, এটি উত্তর-পূর্বের প্রতি উত্সর্গ। মণিপুরে কার সরকার ছিল, যখন মহাত্মা গান্ধীর ছবি সরকারি অফিসে লাগানোর অনুমতি ছিল না? কার সরকার ছিল, যখন মণিপুরের স্কুলে জাতীয় সংগীত না-বাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল? তাদের (বিরোধীদের) সবকিছুই নির্বাচন ঘিরে। তারা রাজনীতির বাইরে চিন্তা করতে পারে না।'
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন, শীঘ্রই মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবে। তিনি বলেন, 'মণিপুরে আবার শান্তি ফিরে আসবে। আমি মণিপুরের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে রাজ্যটি শীঘ্রই উন্নয়নের পথে ফিরে আসবে। আমরা এর জন্য কোনও চেষ্টাই বাকি রাখব না। মহিলাদের ওপর অত্যাচার থেকে সমস্ত ধরনের অত্যাচারের ক্ষেত্রে দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা দেওয়া হবে।'
আরও পড়ুন- সরকার সেঞ্চুরি করছে, বিরোধীরা নো-বল করতেই ব্যস্ত, ক্রিকেটের ভাষায় অনাস্থার জবাব প্রধানমন্ত্রীর
আরও পড়ুন- ইউপিএর ধারণা, তারা নাম বদলে ‘ইন্ডিয়া’ রাখলেই তাদের ভাগ্য বদলাবে, কটাক্ষ মোদীর
এরপরই বক্তব্যে নাম না-করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। রাহুল গান্ধী বুধবারই অভিযোগ করেছিলেন, মণিপুরে আসলে দেশকে অর্থাৎ ভারতকে হত্যা করেছে বিজেপি। কংগ্রেস সাংসদের সেই অভিযোগে বুধবারই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গ উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর গলাতেও। তিনি বলেন, 'এই সভায় মা ভারতী সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তা দেশের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। কিছু লোক মা ভারতীর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে!'
(বিস্তারিত আসছে...)