সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস সভাপতি পদে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধিদের থেকে খাড়গে পেয়েছেন ৭,৮৯৭টি ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর পেয়েছেন ১,০৭২টি ভোট।
আড়াই দশক পর এই প্রথম কোনও অ-গান্ধী ব্যক্তি কংগ্রেসের সভাপতি হলেন। জয়ের পরই দলের নেতাদের থেকে খাড়গে ক্রমাগত শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, দলের অন্যতম নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পর্যন্ত খাড়গে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার মধ্যেই ভেসে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্তা।
মোদী টুইট করেছেন, 'কংগ্রেস সভাপতি পদে নতুন দায়িত্ব পেলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল। আগামী দিনে তিনি যেন কার্যকরী মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেন, সেই শুভেচ্ছা জানাই।'
বুধবার ফল বের হলেও ২৬ অক্টোবর থেকে দলের সভাপতি পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন খাড়গে। তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর স্থলাভিষিক্ত হবেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ের পরই পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন- প্রজন্মের লড়াইয়ে বিভক্ত কংগ্রেস, যা সামলানোই এখন খাড়গের কাছে চ্যালেঞ্জ
তার পর থেকে এতদিন পর্যন্ত সনিয়া গান্ধীই সভাপতি পদে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তবে মোদী স্বাগত জানালেও অন্যান্য বিজেপি নেতারা কংগ্রেসের এই নির্বাচন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বিজেপি নেতা রাজ্যবর্ধন রাঠৌর তোপ দেগে বলেছেন, কংগ্রেসের এই নির্বাচন 'প্রতারণা এবং নাটক' ছাড়া কিছুই নয়।
হিন্দিতে করা টুইটে রাঠৌর লিখেছেন, 'শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী অত্যন্ত দরকার। দীর্ঘসময় পর কংগ্রেস একটি পরিবারের বাইরে তাকাল। কিন্তু, তারা স্রেফ রবার স্ট্যাম্প খুঁজে নিয়েছে। তাদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন স্রেফ ভাঁওতাবাজি ও নাটক ছাড়া কিছুই না।'
অবশ্য প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানালেও দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বংশবাদী রাজনীতির অভিযোগ সরব হয়েছেন মোদী নিজেও। আরএসএসও তার অনেক আগে থেকে এই অভিযোগে শান দিয়েছে। কিন্তু, অ-গান্ধী পরিবারের কেউ এবার কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ায়, আরএসএস-বিজেপির সেই অস্ত্র অনেকটাই ভোঁতা হয়ে গেল।
Read full story in English