প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অ্যানাকোন্ডার সঙ্গে তুলনা করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী। ইয়ানামালা রামকৃষ্ণুডু বলেন, ‘‘সিবিআই, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে গিলে খাচ্ছেন মোদী। তিনি কী বাবে রক্ষাকর্তা হতে পারেন?’’
বিরোধী দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং জনসেনাকে এক হাত নিয়ে মন্ত্রী বলেন এরা কেবল ক্ষমতার জন্য লালায়িত এবং দেশের প্রতি এদের কোনও দায়িত্ব বোধ নেই। তিনি বলেছেন, ‘‘এই দুটি দল মোদীকে সম্রথন করে চলেছে, যে মোদী জাতীয় প্রতিষ্ঠান এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে চলেছেন।’’
আরও পড়ুন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী ভগবান রামের অবতার, বিচারবিভাগ মন্দির বিরোধী’’
নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে অ্যানাকোন্ডা মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি প্রেসিডেন্ট কান্না লক্ষ্মীনারায়ণ বলেন, টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু ‘দুর্নীতির রাজা’। তিনি এখন আতঙ্কে আছেন যে তাঁর দুর্নীতি প্রকাশিত হয়ে পড়বে।
লক্ষ্মীনারায়ণ বলেছেন, ‘‘এন চন্দ্রবাবু নাইডু দুর্নীতির রাজা এবং তিনি যে কোনও পর্যায়ে নিচে নামতে পারেন। ২০১৭ সালের এনডিএ বৈঠকে যিনি মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত বলে সিদ্ধান্ত পাশ করিয়েছিলেন, তিনিই এখন মোদীকে কালপ্রিট হিসেবে দেখাতে চাইছেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত দুর্নীতিবাজ নেতারা একটি গোষ্ঠী বানিয়েছেন আর চন্দ্রবাবু নাইডু তাতে দৌড়ে ঢুকে পড়েছেন। কিন্তু রাজনীতির নাম করে দেশকে লুঠ করা সম্ভব হবে না।’’ রাজ্য বিজেপি সভাপতির দাবি, চন্দ্রবাবু নাইডু ভয় পেয়েছেন যে তাঁর দুর্নীতির ইতিহাস ফাঁস হয়ে যাবে, তাই তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছেন।
সম্প্রতি চন্দ্রবাবু নাইডু বিজেপি বিরোধী সর্বভারতীয় জোট গড়ার লক্ষ্যে দিল্লিতে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে মিলিত হন। নাইডু বলেন, বিশ্বাসযোগ্য একটি বিকল্প গড়ার লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রতি তিনি আকৃষ্ট হন।
চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন টিডিপি অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবিকে কেন্দ্র করে এ বছর এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে যায়।