শুক্রবারের সকালে শান্তিনিকেতন যেন এক বিরল মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে রইল। রাজনীতির ময়দানে একে অপরের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন নিমেষে উধাও হয়ে গেল সৌজন্যবোধের কাছে। একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অন্যজন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপলক্ষ্য, বিশ্বভারতীর সমাবর্তন, যে অনুষ্ঠানে শত বিভাজন উপেক্ষা করে হাসিমুখে সৌজন্য বিনিময় করলেন মোদি ও মমতা।
এদিন সকালে শান্তিনিকেতনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসে পৌঁছনোর পরই তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক ফ্রেমে দু’জনের সৌজন্য বিনিময় নি:সন্দেহে ফটো অফ দ্য ডে হিসেবেই রয়ে গেল। কিছুদিন আগেও রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মোদি। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা।
আরও পড়ুন, শুক্রবার বিশ্বভারতীতে একসঙ্গে মোদি-হাসিনা, তিস্তা-চর্চার সম্ভাবনা
এদিনের সমাবর্তনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। ফলে কার্যত একমঞ্চে পাওয়া যাবে মোদি, হাসিনা ও মমতাকে। তবে শুধু সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াই নয়, আসল নজর দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ঘিরে। তিস্তা জলবণ্টন ইস্যুসহ একাধিক বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার কথা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তিস্তার পাশাপাশি, মোদি-হাসিনার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারে রোহিঙ্গা শরণার্থী, সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও। তিস্তা নিয়ে তিনজনের কী কথা হয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও তিস্তা নিয়ে এটা আলোচনার জায়গা নয় বলে ক’দিন আগেই বলেছিলেন মমতা।