প্রধানমন্ত্রীর উচিত চিন নিয়ে এবার মুখ খোলা। চিনের মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশকে সংযুক্ত করার খবর সামনে আসতেই গর্জে উঠলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, চিন নিয়ে কিছু বলা উচিত প্রধানমন্ত্রীর। মোদী সরকারের তরফে যেটা বার বার দাবি করা হচ্ছে, লাদাখের মানুষ জানেন, তা মিথ্যা। চিন বারে বারে লাদাখে থাবা বসানোর চেষ্টা করছে। চিনের যে মানচিত্র প্রকাশ্যে এসেছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন কংগ্রেস নেতা।
সোমবার চিনের তরফে একটি মানচিত্র প্রকাশ করা হয়। যেখানে অরুণাচল প্রদেশ, আকসাই চিন,তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দেখানো হয়। যা নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।এবার সেই মানচিত্র ইস্যুতে রাহুল গান্ধী ফের একবার মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, "পুরো লাদাখ জানে...চিন কীভাবে সেই অঞ্চলের জমি দখলের চেষ্টা করছে। নতুন মানচিত্র প্রকাশ ঘিরে রাহুল গান্ধী বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর এ বিষয়ে কিছু বলা উচিত।"
কর্ণাটকে রওনা হওয়ার সময় রাহুল গান্ধী বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর এ বিষয়ে কিছু বলা উচিত।" লাদাখ জানে যে চিন জমি দখল করেছে। এই মানচিত্রের বিষয়টি খুবই গুরুতর, তারা জমি কেড়ে নিয়েছে।" বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মানচিত্র প্রশ্নে বলেছেন চিনের তরফে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে তার বাস্তবিক কোনও অর্থ নেই এবং চিনের এই জাতীয় মানচিত্র জারি করার 'অভ্যাস' রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার আমাদের জায়গায় কী করতে হবে সে সম্পর্কে খুব স্পষ্ট’৷ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, "আমরা দাবিগুলি প্রত্যাখ্যান করছি, কারণ চিনের এই দাবির কোনও ভিত্তি নেই৷ এই ধরনের পদক্ষেপ শুধুমাত্র সীমানা প্রশ্নের সমাধানকে জটিল করে তোলার এক প্রচেষ্টামাত্র।"
এই মানচিত্রটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সামনে আনা হয়েছে যখন ভারত ৯-১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া G20 শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি চালাচ্ছে। এই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে তাদের বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সমগ্র প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর "দ্রুত ডি-এস্কেলেশন" এর জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। ২০২০ সালের মে মাসে শুরু হওয়া পূর্ব লাদাখ সীমান্ত অচলাবস্থার কারণে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের পারদ চড়েছে।