নয়া দিল্লির সাউথ ব্লকে গুঞ্জন রয়েছে কথা শোনেন না প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির অন্দরেও অনেকে অভিমান করে এই কথা বলে থাকেন। কিন্তু শুক্রবার রাতের দিকে সেই অভিমান খানিকটা মিটিয়ে দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতি, জাতীয় এবং রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক অবস্থান সহকর্মীদের থেকে খুঁটিয়ে জানলেন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭ জনকল্যাণ মার্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা সেই বৈঠকে প্রথম থেকেই উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের মন্ত্রীরা তাঁর আগামি দিনের পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সামনে। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যেতে রোডম্যাপ কী? মন্ত্রীদের থেকে খুঁটিয়ে শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী।
যদিও এই বৈঠক নিয়ে সরকারি বা দলীয় তরফে কোনও বিবৃতি নেই। কিন্তু জনকল্যাণ মার্গে ব্যস্ততা এবং মন্ত্রীদের কনভয় নিশ্চিত করেছে বৈঠকের প্রসঙ্গ। তবে শুধু প্রশাসনিক বৈঠক নয়, উত্তর প্রদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউপি-র মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। সূত্রের খবর, এযাবৎকাল যাবতীয় বৈঠক ও নির্দেশ ভার্চুয়ালি দিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু শুক্রবার মুখোমুখি বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলের নেতৃত্বের সঙ্গে।
এদিকে, দেশে গণতন্ত্র ভুলুন্ঠিত, চলছে স্বৈরাচারী শাসন। এই অভিযোগে কেন্দ্রের উদ্বেগ বাড়িয়ে ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলনের পথে দেশের বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। ২৬ জুন সব রাজ্যের রাজভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচির ঘোষণা করল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। কালো কাপড় নিয়ে হবে এই ধর্না। ১৯৭৫ সালের এই দিনেই প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। যা ইন্দিরাকে অল্প সময়েই স্বৈরাচারী শাসক বলে দেগে দেয়। দেশের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে সেই স্বৈর শাসনের মিল তুলে ধরতেই ২৬ জুনই ‘জমি বাঁচাও-গণতন্ত্র বাঁচাও’ দিবস পালনে উদ্যোগী আন্দোলনকারী কৃষকরা।
কেন্দ্রীয় তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন কৃষকদের একাংশ। মূলত পাঢ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরাই এই আন্দোলনে সামিল। গত ছয়’মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমানায় চলছে ধর্না আন্দোলন। একাধিকবার আন্দোলনকারী কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। দু-পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন