PMs response on China ineffective-feeble: চিন ইস্যুতে প্রধানমনন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করল কংগ্রেস। দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, চিনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তার কোনও 'কার্যকারিতা' নেই। শুধু তাই নয়। একইসঙ্গে কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াকে 'দুর্বল'-এর প্রতিক্রিয়া বলেও কটাক্ষ করেছে।
অবশ্য এটাই প্রথম নয়। গোড়া থেকেই চিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াকে আক্রমণ করে চলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাহুল গান্ধী বারবার অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী চিনের ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। চিন ভারতের বেশ কিছু জমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু, সেকথা স্বীকার করছেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাহুল গান্ধী।
তবে, কংগ্রেসের এবারের প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারের প্রেক্ষিতে। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের উত্থানকে 'অপ্রতিরোধ্য' বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন যে, ভারত ও চীনের মধ্যে স্থিতিশীল আর শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক সমগ্র অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তার প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ এক বার্তায় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর কাপুরুষতা সবচেয়ে খারাপ। চিন বারবার ভারতের সীমান্ত লঙ্ঘন করছে। আর, তিনি বলেছেন যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অস্বাভাবিকতা কমাতে ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি জরুরি ভিত্তিতে সমাধান করা দরকার।' ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে ভারতে কেউ প্রবেশ করেনি। অথবা, কেউ ভারতের এলাকা দখল করে রাখেনি। সেই মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ১৪০ কোটি ভারতীয়র কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও দাবি তুলেছেন রমেশ।
আরও পড়ুন- জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া নাগরিকের অধিকার! বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
এতেই না থেমে রমেশ বলেন, 'চিনকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানোর সুযোগ ছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু, তাঁর অকার্যকর এবং দুর্বল প্রতিক্রিয়া সম্ভবত চীনকে ভারতীয় ভূখণ্ড জবরদখলে আরও উৎসাহিত করবে। চিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া শুধু লজ্জাজনকই নয়। আমাদের সীমান্ত রক্ষায় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী শহিদদের প্রতিও অসম্মানজনক। প্রধানমন্ত্রী চিন সম্পর্কে সরকারি টেলিভিশনে বলেছিলেন, কেউ ভারতে জোর করে ঢোকেনি। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁর সেই প্রতারণামূলক বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি দেশবাসীকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।'