স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার। করুণাময়ী মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে SFI কর্মীরা। রাস্তায় বসেই প্রতিবাদ ছাত্র নেতা-কর্মীদের। পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি এসএফআই কর্মীদের। বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ। করোনা-বিধি মেনে অবিলম্বে রাজ্যের স্কুল-কলেজ-সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার দাবি এসএফআইয়ের। সেই দাবিতেই এদিন শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন এসএফআই কর্মীরা। তার আগেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ।
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুল, কলেজ-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে খুলে দেওয়া হয়েছে রেস্তোরাঁ, পানশালা থেকে শুরু করে সিনেমা হল, শপিং মল-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র। তবে এখনও তালা খোলেনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির।
করোনাকালে দিনের পর দিন ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধে শিকেয় উঠেছে লেখাপড়া। অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতেই পারছে না বহু গরিব পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা। স্মার্টফোন, ইন্টারনেট কানেকশনের খরচ জোগানোর সামর্থ না থাকায় একপ্রকার লেখাপড়াই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু ছাত্রছাত্রীরা।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে কোভিড-বিধি মেনে অবিলম্বে স্কুল, কলেজ খোলার দাবি এসএফআইয়ের। সোমবার শিক্ষামন্ত্রীকে বিকাশ ভবনে গিয়ে এই দাবিতেই একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল এই ছাত্র সংঠনটির। এদিন এসএফআইয়ের কর্মীরা করুণাময়ী মোড় পেরোতে গেলেই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। করুণাময়ী মোড়েই তাঁদের পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়েন পুলিশকর্মীরা।
আরও পড়ুন- ‘দেরিতে মামলা, কিছুই করার নেই’, ট্যাবলো-মামলায় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
পুলিশি বাধায় এরপর রাস্তায় বসেই প্রতিবাদ শুরু করেন এসএফআই কর্মীরা। তাঁদের তুলতে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। এসএফআই কর্মীদের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশের। মুহূর্তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। শেষমেশ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।