Advertisment

'ক্ষমতায় এলেই তৃণমূলের হার্মাদদের পুলিশ দিয়ে এনকাউন্টার', হুঁশিয়ারি বিজেপি বিধায়কের

'আমরাও এখানে বিধানসভা ও লোকসভা আসন জিতেছি। জনসমর্থন আমাদেরও কম নেই। আমরাও ছেড়ে কথা বলব না।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bjp demands cancelation of asansol and bidhannagar municipal corporation poll 2022

রাজ্য বিজেপির সদর দফতর। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল

বিজেপি বিধায়কের 'এনকাউন্টার' হুমকিতে তোলপাড় অবস্থা। পদ্ম শিবির ক্ষমতায় এলেই তৃণমূলের 'হার্মাদ'দের 'এনকাউন্টার' করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন মজুমদার।

Advertisment

মঙ্গলবার নদীয়ার কল্যাণীতে ছিল বিজেপির কর্মীসভা। সেই সভা চলাকালীনই আক্রান্ত হন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামপদ দাস। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ওই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল 'হার্মাদ'-রা। প্রতিবাদে বুধবার বেলা বারোটা থেকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করে বিজেপি।

গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া বাজারে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় যশোর রোডে অবরোধ চালায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সেই অবরোধে সামিল হয়েছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার। সখানেই তিনি রাজ্যের সাসক দলকে কড়া আক্রমণ করেন। রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'মঙ্গলবার তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী জেলা সভাপতির উপরে হামলা চালিয়েছে। সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপরে অত্যাচার করেছে তৃণমূল। যারা এই তালিবানি শাসনে বিশ্বাসী সেই তৃণমূলের হার্মাদদের বলে দিতে চাই আমরা ক্ষমতায় এলে এই পুলিশ দিয়েই আপনাদের এনকাউন্টার করা হবে।'

তাঁর সংযোজন, 'আমরা উত্তর প্রদেশ ও অসমকে ফলো করি। বর্তমানে এখানে যাঁরা তৃণমূলের উপরতলায় নেতৃত্বে আছেন তাদের বলি বনগাঁকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা শান্তিপ্রিয়। আমরাও হাতে হাত দিয়ে বসে থাকব না। আমরাও এখানে বিধানসভা ও লোকসভা আসন জিতেছি। জনসমর্থন আমাদেরও কম নেই। আমরাও ছেড়ে কথা বলব না।'

এপ্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'হিংসা ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ নয়। কিন্তু আমাকে জানতে হবে যে বিধায়ক স্বপণ মজুমদার কোন প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন। ওনার মন্তব্য যদি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে জড়িত তৃণমূলূদের জন্য হয় তবে আমি সহমত, অন্য কিছু হলে তা খতিয়ে দেখতে হবে।'

বিজেপি বিধায়কের অএই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, 'বিজেপি আসলে পুলিশরাজে বিশ্বাসী সেটা বারে বারে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ বাংলায় বিজেপি। একে অপরকে মারছেন। আর দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূলের ঘাড়ে। আসলে অশান্তি সৃষ্টির জন্য সমাজে ওরা প্রোরচনা দিয়ে চলেছে।'

West Bengal Kunal Ghosh Bongaon bjp tmc
Advertisment