সোমবার ত্রিপুরার জিরানিয়া মহকুমার মাধববাড়ি এলাকা ঘুরে দেখলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকার। ছ’দিন আগে এখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হন তিনজন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, "গুলি চালানো একেবারেই অপ্রয়োজনীয় ছিল।"
গত ৮ জানুয়ারি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে নর্থ ইস্ট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেসন (নেসো) উত্তর পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যে ১১ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছিল। ত্রিপুরায় নেসোর সদস্য সংগঠন তুইপ্রা স্টুডেন্টস ফেডারেশন (টিএসএফ) জিরানিয়ার মাধববাড়িতে প্রতিবাদ সংগঠিত করে। সেই আন্দোলন ক্রমশ হিংসাত্মক হয়ে ওঠায় পুলিশ প্রথমে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠি চার্জ, পরে কাঁদানে গ্যাস, এবং শেষে গুলি চালায়।
আরো পড়ুন: জাতীয় নিরাপত্তা আইনে ধৃত ত্রিপুরার বিজেপি নেতা
আজ জিরানিয়ায় মাধববাড়ি, এনআইটি, খুমুলুং ও অন্যান্য জায়গা ঘুরে দেখে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা জানান, আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর প্রয়োজন ছিল না। "আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো এড়ানো যেত। এটা প্রয়োজনীয় ছিল না,” বলেন মাণিকবাবু। তিনি আরও জানান, গোটা ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার।
গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব মাধববাড়ি কান্ডের সঠিক কারণ জানার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের ঘোষণা করেন। তিনি প্রাক্তন বৈরী নেতা বিজয় রাংখলের নেতৃত্বাধীন আইএনপিটি দলের উপর ঘটনার দোষ চাপিয়ে বলেন, ঘটনার সঙ্গে আইএনপিটি ও তার শাখা সংগঠনের সদস্যদের যোগসূত্র পাওয়া গেছে।
শনিবার ত্রিপুরা এডিসি এলাকায় আইএনপিটি-র নেতৃত্বে ছ'টি উপজাতি রাজনৈতিক দলের ডাকে ১২ ঘন্টার বনধ পালিত হয়। দাবি ওঠে, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের পদত্যাগ চাই।
সোমবার এলাকা ঘুরে দেখে অবশ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার কাজ করছে। সবাইকে শান্তি বজায় রেখে আবার স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে বলেন তিনি।