মণীশ শুক্লের পর এবার বাবু মাস্টারের ওপর হামলায় কাঠগড়ায় পুলিশ। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন বসিরহাটের এই 'দাপুটে' নেতা। শনিবার দলীয় কর্মসূচি সেরে বসিরহাট ফেরার পথে মিনাখাঁর তাঁর গাড়ির হামলা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি বাবু মাস্টার। এবার তাঁর ওপর হামলার জন্য পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। পুলিশের মদতেই ফিরোজ কামলা গাজি ওরফে বাবু মাস্টারের উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের। মাস্টারের উপর হামলার প্রতিবাদে রবিবার বসিরহাট থানা ঘেরাও করেন বিজেপি-র কর্মী সমর্থকরা। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। সেখানে এই অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
অর্জুন এ দিন টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর খুনের প্রসঙ্গও তুলে বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের সাহায্য করেছিল পুলিশই।’’ মাস্টারের উপর হামলার ক্ষেত্রেও পুলিশ একই কাজ করেছে।" তাঁর আরও অভিযোগ, "মাস্টারের যাত্রাপথের তথ্য হামলাকারীদের দিয়েছিল পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান-সহ স্থানীয় নেতৃত্বের হাত রয়েছে।"
অর্জুন দাবি করেন, এই ঘটনা যে পূর্বপরিকল্পিত। কারণ কয়েক দিন আগেই মাস্টার জানিয়েছিলেন তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এর পরই তাঁর হুঁশিয়ারি, “কারা কী করছে সব হিসেব রাখা হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব হিসেব নেওয়া হবে।”
তৃণমূল এবং খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠলেও, এই ঘটনায় তাঁর এবং দলের কোনও যোগ নেই। এমন দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী। উল্টে এই ঘটনাকে বিজেপির অন্তর্কলহ বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, "সিপিএমের হাত ধরে বাবু মাস্টারের উত্থান। আমিও ওর কাছে বাম আমলে নিগৃহীত হয়েছি।সদ্য বিজেপি-তে ঢুকেছেন মাস্টার। সেখানে জায়গা করে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল তাঁর। আমার মনে হয়, বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই হামলা হয়েছে।”