ফের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা পুলিশের। পথ আটকানো হল অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ টিগ্গা সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়কের। যার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেকে। পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু এরপরও পুলিশ তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি বিধায়কর। ফলে পরিস্থিতি ঘোরাল হয়।
Advertisment
স্কুল কলেজ খোলার দাবিতে বৃহস্পতিবার সল্টলেকে বিকাশভবনে শিক্ষা দফতরের সচিবের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ টিগ্গারা। কিন্তু, মাঝপথেই তাঁদের আটকায় পুলিশ। কেন বাধা? পুলিশ জানায়, সেখানে ১৪৪ ধারা কার্যকর রয়েছে। যদিও বিরোধী দলনেতার দাবি শুভেন্দু পুলিশ সদুত্তর দিতে ব্যর্থ।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে এদিন শুভেন্দু বলেন, 'বাড়ি থেকে বেরতেই এক আইপিএস আমাকে জিজ্ঞাসা করেন কোথায় যাবেন। আমি ওনাকে বলে যেতে বাধ্য কিনা জিজ্ঞাসা করতেই আর কথা বলেননি। শিক্ষা সচিব মনোজ টিগ্গাকে বলেছিলেন ৫টার পর আসতে। কোভিডবিধি মেনেই এসেছি। এখন পুলিশ আটকাচ্ছে।'
Advertisment
এরপরই রাজ্যে স্কুল বন্ধ থাকায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, '২০০ জন নিয়ে বিয়েবাড়ি হতে পারে, স্কুল খুলতে পারে না? দিনরাত খোলা রয়েছে মদের দোকান, আর স্কুল খুলতেই সমস্যা? পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার, মুখমন্ত্রীর পদমর্যাদার গরিমা নষ্ট করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
নন্দীগ্রামের বিধায়কের হুঁশিয়ারি, ' আজ আটকেছে, কাল, পরশু আবার আসবো। রোজ আসবে কেই না কেউই। মুখ্যমন্ত্রীর পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে খেলার কোনও অধিকার নেই।'
পাল্টা তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, 'শুভেন্দু এইসব করে খবরে থাকতে চান। উনি আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে গেলেই তো হত। না বলে গেলে পুলিশ পথ আটকালে কিছু বলার নেই।রাজ্য সরকার স্কুসল খোলার পক্ষে, কিন্তু একবার খুলে ফের বন্ধ হয়ে যাবে সেটা কাজের কথা নয়। তাই সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
উল্লেখ্য, এ দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে স্কুল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি।