সামনেই রাজস্থানে নির্বাচন। তার আগেই মারাত্মক ঘটনায় মুখ পুড়ল গেহলট সরকারের। শুক্রবার রাজস্থানে দৌসা জেলায় ধর্ষণের শিকার হয় এক নাবালিকা। জানা গিয়েছে, নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে বিজেপি শনিবার রাজস্থান রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গেহলট সরকারকে নিশানা করেছে।
মহিলা ও শিশুদের ওপর হওয়া বেশ কয়েকটি সাম্প্রতিক ঘটনায় কথা উল্লেখ করে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন যে কেন্দ্রে বিজেপির লক্ষ্য "বেটি বাঁচাও"। আর রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নেতৃত্বে "ধর্ষকদের বাঁচানো হচ্ছে"
" ধর্ষকরা রাজস্থান সরকারকে ভয় পায় না"
এই ধরনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিজেপির মুখপাত্র বলেছেন, "ধর্ষক এবং অপরাধীরা রাজস্থান সরকার বা রাজস্থান পুলিশকে ভয় পান না। কারণ সরকার প্রধান, গেহলট জি বলেছেন যে বেশিরভাগ ধর্ষণ মামলা মিথ্যা।
নিহতের সঠিক বয়স এখনো নির্ধারণ করা হয়নি
এদিকে, দৌসার এসপি বন্দিতা রানা বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষার পর এবং নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্যাতিতার সঠিক বয়স জানা যাবে। তবে নির্যাতিতার বয়স চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বলেও জানান তিনি। এদিকে ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা থানা ঘেরাও করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেন।বিজেপির মুখপাত্রও অভিযোগ করেছেন যে দোষী পুলিশ কর্মী বাঁচানোর এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার মধ্যেই বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরেই এফআইআর দায়ে করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
বিজেপি নেতাদের প্রতিক্রিয়া
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিজেপি সাংসদ কিরোদি লাল মীনা। তিনি বলেন, "অশোক গেহলট সরকারের অযোগ্যতার কারণে রাজ্যে এই ধরণের ঘটনা বেড়েই চলছে"। রাজস্থান বিজেপির সভাপতি সিপি জোশী ঘটনার নিন্দা এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে গেহলট সরকারকে নিশানা করে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ বসুন্ধরা রাজে লিখেছেন, "কংগ্রেস গত পাঁচ বছরে রাজস্থানে যে অপশাসন বয়ে এনেছে তারই ফল শিশু নির্যাতনের ঘটনা। নিষ্ক্রিয় সরকারকে এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত”।
অন্যদিকে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বিরোধীদের আনা অভিযোগ মানেন নি। তিনি বলেছেন, 'রাজস্থানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়। দেশের যেকোন জায়গায় এই ধরণের ঘটনা লজ্জাজনক”।