বুধবার বাম ও কংগ্রেস ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা বনধকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল মালদার সুজাপুর। 'যানবাহনে ভাঙচুর চালাচ্ছে পুলিশ' সংবাদমাধ্যমে দেখানো এই ভিডিও (যাচাই না করা) প্রচারের পরই বাংলার রাজনৈতিক মঞ্চে শুরু হয় দোষারোপ পর্বের খেলা। ভিডিও প্রসঙ্গে সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘যোগীর পুলিশ যা করছে, এ রাজ্যে মমতার পুলিশও সেই এক কাজ করছে। যোগীর পুলিশ উত্তরপ্রদেশে গাড়ি ভাঙচুর করেছে, দোকানপাট ভাঙচুর চালিয়েছে, আর আজ মালদায় সুজাপুরে মমতার পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করেছে’’। এমনকী ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানান সেলিম।
আরও পড়ুন: সিএএ-এর সমর্থনে বক্তৃতা, বিশ্বভারতীতে আটক বিজেপি সাংসদ
এদিকে বামেদের মতোই এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানায় কংগ্রেসও। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “সুজাপুরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পিছনে কারা ছিলেন, তা জানার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে অবিলম্বে এর তদন্ত শুরু করতে হবে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে তাঁর পুলিশকর্মীরাই গাড়ি ভাঙচুর করছেন।"
আরও পড়ুন: ‘ভাইপোকে বাঁচাতে দালালি করেছেন মমতা’
যদিও বাম-কংগ্রেসের মন্তব্যের পর তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই সব কথা অযৌক্তিক। ওনারা বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এসব বলছেন।" কিন্তু পার্থবাবুর এহেন মন্তব্যকে কোনওভাবেই সমর্থন করছেন না বিজেপির জাতীয় সচিব রাহুল সিনহা। সাফ জানালেন, "ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।" তবে গোটা ঘটনায় যাদের দিকে আক্রমণের তীর, সেই মালদা পুলিশের এসপি অলোক রাজোরিয়া বলেন, "আমরা ভিডিও ফুটেজটি পেয়েছি এবং তা পরীক্ষা করে দেখছি। দোষী প্রমাণিত হলে সেই সকল পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। "
Read the story in English