প্রায় তিন ঘণ্টা পর শেষ হল কাশ্মীর প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক। যদিও এখনও সরকারি তরফে কোনও বিবৃতি মেলেনি। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁরা পাঁচটি দাবি রেখেছেন।‘ গত সপ্তাহেই জম্মু-কাশ্মীরের গুপকার গোষ্ঠী (প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মঞ্চ) ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। সেই ঘোষণা মোতাবেক এদিনের বৈঠকে ছিলেন, ফারুক আবুদল্লা, গুলাব নবী আজাদ, মেহবুবা মুফতি-সহ অন্য উপত্যকার অন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
এদিনের বৈঠক শেষে গুলাম নবী আজাদ বলেন, ‘কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া, অবিলম্বে বিধানসভা নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরানো, সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি, ডোমইসাইল চালু এবং কাশ্মীরি পন্ডিতদের পুনর্বাসন। এই পাঁচটি দাবি প্রধানমন্ত্রীর সামনে রাখা হয়েছিল।‘ এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর দাবি, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু সব দলের উচিত দেশের ও মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করা। দিল (মন) থেকে দূরত্ব ও দিল্লি থেকে দূরত্ব মুছে ফেলতে হবে।’’
পিপলস কনফারেন্সের নেতা মুজফফর হুসেইন বেগ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন কাশ্মীরের শান্তি ফেরাতে যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন। এদিনের বৈঠক সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং ইতিবাচক।‘ এদিকে, এই বৈঠক ঘিরে এদিন হাই অ্যালার্টে ছিল উপত্যকা। বাড়ানো হয়েছিল নিরাপত্তা। গত কয়েকমাস যাবৎ কাশ্মীরে বেড়েছে জঙ্গি সক্রিয়তা। সম্প্রতি সেনা এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন লষ্করের কমান্ডার-সহ তিন জঙ্গি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া না মিটলে ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়। করোনার জন্য সেই কাজ আটকে।
অপরিদকে, কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকার সর্বদল বৈঠক ডাকার পরেই নড়েচড়ে বসেছে ইসলামাবাদ। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকের সমালোচনা করে উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি, ভারত যাতে এমন কিছু না করে, যার প্রভাবে উপমহাদেশে শান্তি বিঘ্নিত হয়। প্রছন্ন এই হুমকি এসেছিল ইসলামাবাদ থেকেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন