Rajya Sabha polls today: আজ রাজ্যসভার নির্বাচন। এর আগে আজই রাজ্যসভার মোট ৫৬ আসনে ভোটগ্রহণের কথা ছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বহু প্রার্থী জিতে গিয়েছেন। মঙ্গলবার রাজ্যসভার তিন রাজ্যের ১৫ আসনে ভোটগ্রহণ। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ভোটপর্ব শেষ বিকেল ৪টেয়।
যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় ১০টি আসন ফাঁকা রয়েছে। যার মধ্যে BJP-র কাছে ৭টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার পর্যাপ্ত সংখ্যা রয়েছে। সমাজবাদী পার্টি (SP) তিনটিতে জিততে পারে। কিন্তু BJP ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদ সঞ্জয় শেঠকে তাদের অষ্টম প্রার্থী হিসাবে মাঠে নামিয়েছে। সেই সঙ্গে একটি আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। সঞ্জয় শেঠ প্রাক্তন এসপি নেতা। তিনি ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
কর্ণাটকে রাজ্যসভার চারটি আসন এবং পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জনতা দল (সেকুলার) নেতা এবং রিয়েল এস্টেট ব্যারন ডি কুপেন্দ্র রেড্ডির প্রার্থী হওয়ার ঘটনা চতুর্থ আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনিবার্য করে তুলেছে। কর্ণাটকের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের তিনটি আসনে জয় নিশ্চিত। বিজেপি একটিতে বাজিমাত করতে পারে।
অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের কাছে রাজ্যসভার একটি আসন জয়ের সংখ্যা রয়েছে। তবে দলের সিনিয়র নেতা অভিষেক মনু সিংভির প্রার্থী হওয়া নিয়ে কংগ্রেসের কিছু নেতার মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে। বিজেপি প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা হর্ষ মহাজনকে প্রার্থী করেছে। এক্ষেত্রে কংগ্রেসের অন্দরের কোন্দল কাজে লাগিয়ে লাভের গুড় ঘরে তোলার আশায় বুক বেঁধে পদ্ম শিবির।
আরও পড়ুন- Arvind Kejriwal: ‘হাজার চাপ এলেও জোট ছাড়ব না’, সপ্তম সমন এড়িয়ে মোদীকে নিশানা কেজরিওয়ালের
উত্তর প্রদেশ
বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে ১০টি আসনে প্রার্থী রয়েছেন ১১ জন। বিজেপি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর পি এন সিং, দলের সাধারণ সম্পাদক অমরপাল মৌর্য, প্রাক্তন মন্ত্রী সঙ্গীতা বলওয়ান্ত, মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী, প্রাক্তন বিধায়ক সাধনা সিং, প্রাক্তন আগ্রার মেয়র নবীন জৈন, প্রাক্তন সাংসদ চৌধুরী তেজবীর সিং এবং শেঠকে প্রার্থী করেছে। এদিকে, সমাজবাদী পার্টি অভিনেতা-রাজনীতিবিদ জয়া বচ্চন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সচিব অলোক রঞ্জন এবং দলিত নেতা রামজি লাল সুমনকে প্রার্থী করেছে।
উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় ৪০৩ জন বিধায়ক রয়েছেন। তবে চারটি আসন খালি থাকায় মঙ্গলবার ভোট দেবেন ৩৯৯ জন। সুতরাং, প্রতিটি প্রার্থীর ৩৭টি প্রথম পছন্দের ভোট প্রয়োজন। বিজেপির ২৫২ জন বিধায়ক রয়েছে। এবং NDA জোটের ৩৪ জন বিধায়ক রয়েছে। এদের মধ্যে আপনা দল (এস) থেকে ১৩ জন, রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি) থেকে ৯, নিশাদ পার্টি থেকে ৬ এবং ওম প্রকাশ রাজভারের নেতৃত্বাধীন সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির (SBSP)। অন্যদিকে, 'বাহুবলী নেতা' রঘুরাজ প্রতাপ সিং, যিনি "রাজা ভাইয়া" নামে পরিচিত, যিনি জনসত্তা দল লোকতান্ত্রিকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের দুই বিধায়কের একজন — বিজেপিকে সমর্থন করছেন।
আরও পড়ুন- Ritesh Pandey: লোকসভা ভোটের আগেই ফাঁপরে মায়াবতী, দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ সাংসদ রিতেশ পান্ডের
বিজেপি যদি এই ৩৬টি ভোটের সবকটি পেতে সক্ষম হয়, তবে তার ঝুলিতে ২৮৮টি ভোট থাকবে। কিন্তু অষ্টম প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ৮টি ভোট কম পড়বে। এসপি-র ১০৮ জন বিধায়ক এবং তার মিত্র কংগ্রেসেরও দুটি বিধায়ক রয়েছে। দলের তিন প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ১১১ ভোটের প্রয়োজন। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগী তথা আপনা দল (কে) নেত্রী পল্লবী প্যাটেল। যিনি ২০২২ সালে এসপি-র প্রতীকে জয়ী হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন জয়া বচ্চন বা অলোক রঞ্জনকে ভোট দেবেন না।
কর্ণাটক
দক্ষিণের রাজ্য থেকে রাজ্যসভার চারটি আসন এবং পাঁচজন প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মাকেন এবং বর্তমান রাজ্যসভার সাংসদ সৈয়দ নাসির হুসেন, কংগ্রেসের জি সি চন্দ্রশেখর, বিজেপির প্রাক্তন এমএলসি নারায়ণসা ভান্দগে এবং কুপেন্দ্র রেড্ডি।
জয়ের জন্য, ২২৪ বিধায়কের বিধানসভায় প্রতিটি প্রার্থীর ৪৫টি প্রথম পছন্দের ভোট প্রয়োজন। কংগ্রেসের বর্তমানে ১৩৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। ৬৬ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপি তার প্রধান প্রার্থী ভান্দেজকে নির্বাচিত করার জায়গায় রয়েছে। এমনকী বিজেপির অতিরিক্ত ভোট এবং তার ১৯ জন বিধায়ক নিয়েও, কুপেন্দ্র রেড্ডিকে রাজ্যসভায় পাঠাতে জেডি(এস)-কে আরও পাঁচটি ভোটের প্রয়োজন হবে। সোমবার, কংগ্রেস বিধায়কদের বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যেখানে কংগ্রেস এক রাউন্ড মক ভোটিংও করেছিল। কংগ্রেস ক্রস ভোটিং নিয়ে শঙ্কিত কিনা জানতে চাইলে শিবকুমার বলেন, "এটা হবে না।" রাজ্য কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সেলিম আহমেদ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, বিধায়করা সকালে সরাসরি ভোট কেন্দ্রে যাবেন।
হিমাচল প্রদেশ
সংসদের উচ্চকক্ষে নির্বাচিত হতে ৬৮ সদস্যের হিমাচল বিধানসভায় একজন প্রার্থীর ৩৫টি ভোট প্রয়োজন। কংগ্রেসের ৪০ জন বিধায়ক রয়েছেন। তাঁরা স্বতন্ত্র বিধায়ক আশিস শর্মা, কে এল ঠাকুর এবং হোশিয়ার সিংয়ের সমর্থনের উপর নির্ভর করছে। হাউসে বিজেপির ২৫ জন বিধায়ক রয়েছেন।