করোনা আবহে তিন সপ্তাহের জন্য রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছে কমিশন। এ জন্য কলকাতা হাইকোর্ট ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই তিন সপ্তাহে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের পজিটিভিটি রেটও কমিয়ে ৩ শতাংশের নীচে নামানোর সংকল্প গ্রহণের জন্য সকলকে আর্জি জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
টুইটে কী লিখেছেন অভিষেক?
কোভিড ফের মাথাচাড়া দিলেও চার পুরনিগমে ভোটের পক্ষে ছিল নবান্ন। বিরোধীদের আবেদনেও কমিশন ভোট পিছতে রাজি ছিল না। শেষে নির্বাচন পিছনোর মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এরই মাঝে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যবলী আপাতত কয়েক সপ্তাহ স্থগিতের দাবি তোলেন। যদিও জানান যে, এই দাবি তাঁর ব্যক্তিগত। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার কোভিডকালে যখন ভোটের পক্ষে তখন শাসক দলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ডে'র ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ঘিরে টানাপোড়েন শুরু হয়।
এরই মাঝে হাইকোর্ট কমিশনকে ভোট পিছনের বিষয়টি ভেবে দেখতে ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দেয়। শুক্রবারের এই নির্দেশের পর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই চার পুরনিগমের ভোট তিন সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে যায়।
এরপরই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার জন্য টুইটবার্তায় কলকাতা হাইকোর্ট ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইসঙ্গে রাজ্যবাসীকে পজিটিভিটি রেট কমাতে সংকল্প গ্রহণেরও আর্জি জানান। টুইটে তিনি লেখেন, 'পরবর্তী ৩ সপ্তাহে রাজ্যের সংক্রমণ হার ৩ শতাংশের নীচে নামাতে হবে আমাদের একসঙ্গে কাজ করে সংক্রমণ হার কমানো নিশ্চিত করতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শক্তিশালী করা এই মুহূর্তের অগ্রাধিকার।'
গত সপ্তাহেই সাংসদ অভিষেকের নেতৃত্বে ডায়মন্ড হারবারে নিয়ন্ত্রবিধি জারি করে পুলিশ। দাবি করা হয় রেকর্ড পরিমাণ নমুনা পরীক্ষার। অভিষেক বন্দ্যোরপাধ্যায়ের তরফে বলা হয়, এর জেরেই সংক্রমণের গতি শ্লথ হয়েছে তাঁর নির্বাচনী এলাকায়। তুলনা টানলে প্রকাশ্যে যে, বাংলায় যখন পজিটিভি রেট ৩০ শতাংশের উপরে তখন ডায়মন্ড হারবারে পজিটিভি রেট প্রায় ২.৬।