ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে সিবিআই। রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে হিংসার অভিযোগ ও নথি তলব করা হয়েছে। এতেই কিছুটা অক্সিজেন পেয়েছে বাংলার বিরোধী দল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলাতেও কড়া হুঁশিয়ারি। ২রা মে-র পর পশ্চিমবঙ্গে হিংসার জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আইন বিরুদ্ধ কাজ করলে পুলিশকেও রেয়াত করা হবে না বলে জানান তিনি।
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
একুশের ভোট বাংলায় বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু ২রা মে ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তাল হয় রাজ্য। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসলক দলের নেতী, কর্মীদের প্রত্যক্ষ মদতে বিরোধী সমর্থক, কর্মীদের বাড়িতে লুঠপাঠ চলছে। অত্যাচার মাত্রাছাড়া। বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। পুলিশকেও অভইযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ। যা নিয়ে প্রবল রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
আরও পড়ুন- ‘ইগো ছাড়ুন-বিজেপির বিরুদ্ধে সবাই এক হয়ে লড়ুন’, বার্তা মমতার
প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সুরাহা না মেলায় শেষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয় অত্যাচারিত, ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা। কমিশনের প্রতিনিধিরা রাজ্যের যেসব অঞ্চলে হিংসার অভিযোগ বেশি সেইসব এলাকায় পরিদর্শনে করেন। পরে রিপোর্ট জমা দেন আদালতে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির এজলাসে এই বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানিতে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তভার সিবিআই ও সিটকে দিয়েছে আদালত। যাতে কার্যত বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগই মান্যতা পেল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- নজরে ২০২৪, পরিকল্পিত পথে পোক্ত বিরোধী জোটের বার্তা সনিয়ার
এরপরই শুক্রবার নন্দীগ্রামে জোড়া-ফুলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, "যার যেখানে থাকা উচিত সেখানে সে যাবে। খুঁজে খুঁজে বের করা হবে খুনিদের।" বিজেপির দাবি ভোটপরবর্তী হিংসায় গত ১৩ মে নিহত হয়েছেন নন্দীগ্রামের দেবব্রত মাইতি। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে পুলিশকেও চ্যালেঞ্জ জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, "নন্দীগ্রামে দেবব্রত মাইতি খুনিদের ছাড়া হবে না। হিংসায় মদত দেওয়া এবং ঘুমিয়ে থাকা পুলিশ কর্মীদের রেয়াত করা হবে না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন