করোনা আবহে ভোট নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ব্যক্তিগত' দাবি নিয়ে গত সপ্তাহে ঘাস-ফুলের অন্দরে জোর চর্চা হয়। প্রকাশ্যেই মুখ খুলে বিতর্ক বাড়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, অভিষেকের মন্তব্য দল বিরোধী। যা ঘিরেই শাসক দলে ত্রাহি ত্রাহি রব।
অভিষেক বিরোধী মন্তব্যের জেরে শ্রীরামপুরের সাংসদকে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। নিশানা করেন মদন মিত্রও। এছাড়াও তৃণমূলের যুব নেতৃত্ব, যাঁরা শাসক দলে অভিষেক অনুগামী বলে বিবেচিত তাঁরাও তুলোধনা করেন দলের লোকসভার চিফ হুইপকে। বাকযুদ্ধের পর চলে টুইট যুদ্ধও। প্রকট হয়, তৃণমূলে মমতা-পন্থী ও অভিষেক-পন্থীদের আকছাআকছি। যা ঘিরে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিরোধী বিজেপি। পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে দেখে বিবদমান দলীয় নেতৃত্বকে চুপ থাকার নির্দেশ দেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কিন্তু সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল। সোমবার ফের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ ও বিরুদ্ধে পড়ে পোস্টার ও সোশাল মিডিয়ায় প্রচার। স্বাভিকভাবেই যা কাঁটা হয়ে বিঁধছে জোড়া-ফুলে।
'আর নয় কল্যাণ, অকল্যাণের মুক্তি চাই। শ্রীরামপুরে নতুন সাংসদ চাই। দিদি তুমি বিচার কর। দাদা তুমি বিচার কর।' এরকমই পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিল, ছাই রোড, মৈত্রীপথ এলাকা। এগুলি কে বা কারা দিয়েছে যদিও তার কোনও উল্লেখ নেই।
আবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে এদিন সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তাঁর অনুগামীরা। তাঁরা লেখেন, 'কল্যাণদাকেই চাই।'
শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির নির্দেশের পর মুখে কুলুপ এঁটেছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ। তবে, তাঁকে কেন্দ্র করে যে তৃণমূলের অন্দরে 'খেলা' চলছে তা এই পরস্পর বিরোধী পোস্টার, পোস্টেই স্পষ্ট।