এবারও জয়ের রেকর্ড বজায় রাখলেন ভোট কৌশলী পিকে। দিল্লির অর্ধেকেরও বেশি আসনে সকাল থেকেই এগিয়ে আম আদমি পার্টির প্রার্থীরা। যার নেপথ্যেও রয়েছে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের অবদান। মাস দুই আগেই প্রশান্তের সংস্থা আই-প্যাক আপের সঙ্গে যুক্ত হয়। তারপর থেকেই বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির পাল্টা কেজরিওযালের মুখে শুধুই গত পাঁচ বছরের রাজধানীর উন্নয়ন প্রসঙ্গ। আর এতেই বাজি মাত। দ্বিতীয়বারের জন্য ফের দিল্লির মসনদ দখলের পথে কেজরিওয়াল এন্ড কোম্পানি। আর, আপকে জিতিয়ে ভোট ময়দানে ফের নিজের গুরুত্ব বোঝালেন পিকে। আপকে ভোট দেওয়ার জন্য দিল্লিবাসীকে টুইটে ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
Thank you Delhi for standing up to protect the soul of India!
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) February 11, 2020
প্রথামিকস্তরে ‘মেধনাদের’ ভূমিকা পালন করেছেন প্রশান্ত কিশোর। পিছন থেকেই পরামর্শ দিয়েই আপকে ভোট ময়দানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সময় যত এগিয়েছে ততই প্রকট হয়েছে এই ভোট কৌশলীর ভূমিকা। প্রচারে সিএএ-র হয়ে জোর সওয়াল করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী সহ গেরুয়া দলের একঝাঁক মন্ত্রী, সাংসদ নানা কথায় আক্রমণ করেছে সিএএ বিরোধীদের। যার মাঝে কার্যত চুপ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। সেই সময়ই আপের ব্যটন ধরেন পিকে। একের পর এক টুইটের মাধ্যমে তোপ দাগেন পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে। বিজেপি বিরোধী ভোটে আপের থাবা রুখতে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসেরও।

মেরুকরণের রাজনীতি দিয়ে যখন দিল্লিতে বাজিমাতের স্বপ্ন দেখছেন মোদী-শাহরা, তখন আপের স্লোগান ‘নাম পে নেই-কাম পে ভোট।’ ভারতীয় রাজনীতিতে প্রচোলিত রয়েছে যে, উন্নয়ন করে ভোটে যেতা যায় না। সেই প্রবাদও দিল্লি ভোটে মিথ্যা বলে প্রমাণ হল। কেজরির নির্ধারিত স্লোগানেই উন্নয়নকে পুঁজি করে ভোটারদের দরবারে হাজির হয়েছিলেন কেজরীওয়ালরা। সেই ‘উন্নয়নে’ আস্থা রেখেছেন দিল্লিবাসী। নেপথ্যে সেই পিকে।
আরও পড়ুন: ‘অমিত শাহকে কারেন্ট খাইয়েছে দিল্লির জনতা’
সিএএ বিরোধী মন্তব্য, সোশাল মিডিয়া পোস্ট করে এক সময় এনডিএ শরিক ততা নিজের দল জেডিইউ-য়ের কড়া চোখের সামনে পড়েন পিকে। তাতেও অবস্থান বদলাননি তিনি। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে গিয়েছেন। মানুষ তাতেই ভরসা পেয়েছেন। যার প্রভাব ইভিএম-এ পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভোটে জয়ের রেকর্ডে আপাতত ফুল মার্কস প্রশান্ত কিশোরের। ভোট কৌশলীর এই সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই উজ্জীবিত তৃণমূল শিবির। দলের ‘মেন্টর’ কিশোর ম্যাজিক ২১শের বাংলাতেও প্রতিফলিত হবে বলে আশা জোড়া-ফুল নেতৃত্বের।