নীতীশকে বেগ দিতে এবার আসরে দলের প্রাক্তন সহসভাপতি তথা ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। চলতি বছরেই বিহারে বিধানসভা ভোট রয়েছে। সেই কথা বিবেচনা করেই আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে 'বাত বিহার কি' প্রচার শুরুর পথে প্রশান্ত কিশোর। রাজ্যের গত ১০ বছরের উন্নয়নকে এদিন কটাক্ষ করেন এই ভোট কৌশলী। খোলা মঞ্চে বিতর্কে জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।
এদিন প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'আমার সঙ্গে নীতীশজির ভাল সম্পর্ক। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। দল থেকে আমাকে বার করে দেওয়া নিয়ে আমি কোনও কথা বলব না।' তবে তিনি মেনে নেন, বিজেপিকে সমর্থন নিয়ে জেডিইউ নেতাদের সঙ্গে তাঁর মতাদর্শগত বিরোধ রয়েছে। প্রশান্ত কিশোরের কথায়, 'যাঁরা গান্ধীর আদর্শে বিশ্বাসী তাঁদের গডসের সমর্থকদের সঙ্গে পথ চলা অসম্ভব। এই নিয়েই দল ও নীতীশ কুমারের সঙ্গে আমার বিরোধ।' সিএএ-এনআরসি নিয়ে বিজেপিকে সমর্থন করায় প্রশ্ন তোলেন কিশোর ও পবন ভর্মা। দল বিরোধী কাজের জন্য দু'জনকেই দল থেকে বহিষ্কার করেন নীতীশ কুমার।
আরও পড়ুন: পিকের উপর হামলার ছক? প্রশান্ত কিশোরকে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা মমতা সরকারের!
২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিহারে উন্নয়ন প্রায় হয়নি, এমন দাবিও করেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর এই দাবির বিরোধিতা করতে হলে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন বিহার সরকারকে তথ্য প্রমাণ পেশের কথা বলেন প্রশান্ত কিশোর। এ প্রসঙ্গে খোলা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীকে বিতর্কে অংশগ্রহণের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ভোট কৌশলী কিশোর।
আরও পড়ুন: ‘মমতা পারছেন না, তাই তৃণমূল সভাপতি প্রশান্ত কিশোর’, বিস্ফোরক মুকুল
রাজ্যের উন্নয় প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'বিহারের অগ্রগতি হচ্ছে এমন দাবি করা হলেও আমাদের দেখতে হবে যে অন্য রাজ্যের তুলনায় সেখানে কতটা অগ্রগতি হয়েছে। যদি উন্নয়ন হয়েই থাকে তবে বিহারের আজও অভাব রয়েছে কেন? ২০০৫ সালে এই রাজ্য যেখানে দাঁড়িয়েছিল এখনও সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। ঝাড়খণ্ডকে বাদ দিলে বিহারই এখন ভারতের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা রাজ্য। আমি আবার বলছি যে, বিহার ২০০৫ সালে অন্য রাজ্যের তুলনায় সবচেয়ে পিছিয়ে ছিল এবং এখনও সবচেয়ে পিছিয়েই রয়েছে এই রাজ্য।'
স্কুল ছাত্রীদের সাইকেল দিলেও রাজ্যের সার্বিক শিক্ষা পরিকাঠামো বা তার মানের দিকে দৃষ্টি দেননি বলে অভিযোগ করেন কিশোর। তাঁর দাবি, 'বাত বিহার কি'র মাধ্যমে রাজ্যকে ভারতের প্রথম দশ রাজ্যের মধ্যে তুলে আনার চেষ্টা করব।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন