এর আগে একাধিক বাম বিধায়ক বা নেতৃত্ব পিকের টিমের প্রস্তাব ফিরিয়ে ছিলেন বলে দাবি করেছেন। এবার খোদ পিকের প্রস্তাব মুখের ওপর না করে দিয়েছেন বলে দাবি করলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক আলি ইমরান রামজ। বাইপাসের একটি হোটেলে তাঁদের মধ্যে প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক হয়েছিল বলেও ওই বিধায়ক দাবি করেছেন। তাঁকে মন্ত্রীত্বসহ যে কোনও শর্তে তৃণমূল নিতে রাজি বলেও ওই বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে আলি ইমরানের দাবি। যদিও আইপ্যাকের থেকে বলা হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওই বাম বিধায়ক। কিন্তু পিকে বৈঠকে ছিলেন কিনা তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি আই প্যাক। বাম বিধায়কের অভিযোগে তোলপাড় বাংলার রাজনীতি।
উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার তিন বারের ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক আলি ইমরান রামজ। আলি ইমরান ভিক্টর নামে পরিচিত। মঙ্গলবার আলি ইমরান ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "বেশ কেয়কদিন ধরেই পিকের টিমের লোকজন তাঁকে ফোন করে আসছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, পিকে আমার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায়। এভাবে একদিন আমি যখন আইটিসি সোনার বাংলায় ডিনার করতে যাচ্ছিলাম সেদিনও ফোন করে। এমনকী পিকে হোয়াটঅ্যাপ কল করে। শেষমেশ সেখানে দার্জিলিং কাফেতে পিকে আমার সঙ্গে দেখা করেন। আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীও ছিলেন। সেখানেই আমাকে মন্ত্রীত্ব সহ অন্য লোভনীয় প্রস্তাব দেয় আমাকে। আমি মুখের ওপর না বলে দিয়েছি।"
কী কথা হয়েছিল পিকের সঙ্গে বাম বিধায়কের?
আলি ইমরানের দাবি, "আমাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় পিকে। আমি তখন বলেছিলাম ১০ বছরে ১০ বার তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা দিদির পক্ষ থেকে আমাকে প্রস্তাব দিয়ে আসছে। মন্ত্রী বা লোকসভার টিকিটের প্রস্তাব এসেছে। আমার দল পরিবর্তন করার কোনও ইচ্ছা নেই। আমি আমার দলের সঙ্গে আছি। জণগন আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। জণগনের আস্থার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে চাই না। আমি নেতাজির আদর্শে বিশ্বাস করি। লোভে দল পরবির্তন করব না। আমাকে বলেছিলেন আপনার কী শর্ত আছে বলুন। তা মেনে নেব। পছন্দের তিনটে ডিপার্টমেন্টের নাম করুন। আমি তখন জানিয়ে দিয়েছি আমার কোনও দফতরের দরকার নেই। আমি ফরওয়ার্ড ব্লকেই থাকব। তখন পিকে বলেন, আমি উঠছি। আপনি আমার প্রস্তাব ভেবে দেখুন। আমি তাঁকে জানিয়ে দিই আপনার সঙ্গে আর কথা বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।" আলি ইমরানের দাবি, ওই হোটেলের ১৭ জুলাইয়ের রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সিসি টিভি ফুটেজ দেখলেই বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যাবে। আলি ইমরানের এই অভিযোগে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য-রাজনীতিতে।
এদিকে আই প্যাক সূত্রে খবর, "ওই ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক নিজেই তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। দল ছেড়ে নিজেই তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়েছেন। তিন মাস ধরে কথা বলেছেন। তৃণমূলে এলে কী পাবেন, তা নিয়ে দর কষাকষি করেছেন। সব জানাজানি হওয়াতেই এখন এসব কথা বলছেন।" তবে ১৭ জুলাইয়ের বৈঠকে পিকে ছিলেন কিনা তা নিয়ে কোনও মন্তব্য
মেলেনি আইপ্য়াকের কাছ থেকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন