সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে সোচ্চার হয়ে জেডিইউ শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন তিনি। সিএএ ও এনআরসি ইস্যুতে মোদী বাহিনীর বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলকে একজোট হয়ে লড়াইয়েরও বার্তা দিয়েছিলেনএনডিএ শরিকি। এবার বিজেপির সঙ্গে তাঁর দলের আসন রফা নিয়ে সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত দিলেন প্রশান্ত কিশোর। আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির থেকে বেশি সংখ্যক আসনে লড়ুক জেডিইউ, এমন কথাই বলেছেন দলের নেতা তথা ভোটকুশলী পিকে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, ‘‘যদি আমরা ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকাই, যেখানে গত নির্বাচনে বিজেপি ও জেডিইউ একসঙ্গে লড়াই করেছিল। এবার সূক্ষ্ম বদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে দুই দল সমসংখ্যক আসনে লড়তে পারে না’’। এ প্রসঙ্গে পিকে আরও বলেছেন, বিহারে বিজেপির থেকে বড় দল জেডিইউ। এনডিএ জোটের প্রধান মুখ করা হোক নীতীশ কুমারকে। ৫০-৫০ ফর্মুলা এবার কাজে দেবে না। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে ১৭টি করে আসনে লড়েছিল বিজেপি ও জেডিইউ। ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল রামবিলাস পাসোয়ানের এলজেপি।
আরও পড়ুন: পিকের পরিবর্তন? নীতীশকে ছেড়ে কি এবার মমতার সঙ্গেই ভোটগুরু?
প্রসঙ্গত, সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সমর্থন করেছে এনডিএ শরিক জেডিইউ। যা নিয়ে প্রকাশ্যে নীতীশ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। এ নিয়ে টুইটারে প্রশান্ত কিশোর লিখেছিলেন, ‘‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করেছে জেডিইউ। এই সিদ্ধান্তে আমি হতাশ। যে বিল ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করবে, সেই বিলকে সমর্থন করল! এটা দলের গঠনতন্ত্রের সঙ্গে বেমানান। যে দলের নেতৃত্ব গান্ধীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত, সেই দল এই বিলকে সমর্থন করল!’’ এরপর থেকেই সিএএ ও এনআরসি ইস্যুতে একদিকে যেমন মোদী বাহিনীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন পিকে, তেমনই এ ইস্যুতে দলের অবস্থানের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তিনি। এমন প্রেক্ষিতে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ভোটকুশলীর এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English