সম্পর্কে চিড় আগেই ধরেছিল। শেষমেশ ভেঙেই গেল সম্পর্কটা। প্রশান্ত কিশোরকে জেডিইউ থেকে বহিষ্কার করে দিলেন নীতীশ কুমার। জেডিইউ-এর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের তিক্ততা চরমে পৌঁছেছিল মঙ্গলবার। এই দিনই প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে বাগযুদ্ধে শামিল হন পিকে ও নীতীশ। ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সুপারিশেই দলে নেওয়া হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরকে’, নীতীশের এই মন্তব্যে তিক্ততা আরও বাড়ে। এই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে পিকে বলেন, ‘‘কেন মিথ্যা কথা বলছেন’’।
নীতীশ কুমারকে নিশানা করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘‘কীভাবে ও কেন আমায় জেডিইউতে যোগদান করালেন, সেই মিথ্যা কথা বলতে গিয়ে কতটা নীচে নামছেন আপনি! খুব কাঁচা চাল চাললেন। আমার-আপনার রাজনৈতিক রং কিন্তু এক!’’ এ প্রসঙ্গে নীতীশকে বিঁধে পিকে আরও বলেন, ‘‘যদি আপনি এ নিয়ে সত্যিও বলেন, তাহলে কে বিশ্বাস করবে যে অমিত শাহের নির্দেশে যাঁকে আপনি দলে নিলেন, তাঁর কথাই আপনি শুনছেন না’’।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত প্রশান্ত কিশোর
মঙ্গলবার পটনায় নাম না করে প্রশান্তকে টার্গেট করে নীতীশ কুমার বলেন, ‘‘কেউ চিঠি দিয়েছেন, আমি জবাব দিয়েছি। কেউ একজন টুইট করে চলেছেন, টুইট করতে দিন। আমি কী করতে পারি? কেউ যতক্ষণ দলে থাকতে চাইবেন, থাকবেন, যদি কেউ চান, দল থেকে বেরোতে পারেন...আপনারা কি জানেন, উনি কীভাবে দলে যোগ দিয়েছিলেন? ওঁকে দলে নিতে অমিত শাহ আমায় বলেছিলেন’’।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই নীতীশ কুমারের নেতৃত্বের সমালোচনায় মুখর ছিলেন জেডিইউ নেতা তথা ভোটকুশলী পিকে। সিএএ সমর্থন নিয়ে নীতীশবাহিনীকে কার্যত তুলোধনা করেছিলেন প্রশান্ত। একই পথে হেঁটেছিলেন পবন ভার্মাও। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বুধবার পিকে ও ভার্মাকে বহিষ্কার করে জেডিইউ।
Read the full story in English