জল্পনাই সত্যি হল। প্রশান্ত কিশোরকে বহিষ্কার করল জেডিইউ। প্রশান্ত কিশোরের পাশাপাশি জেডিইউ নেতা পবন ভার্মাকেও বহিষ্কার করল নীতীশ কুমারের দল। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ওই দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হল বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই নীতীশ কুমারের নেতৃত্বের সমালোচনায় মুখর ছিলেন জেডিইউ নেতা তথা ভোটকুশলী পিকে। সিএএ সমর্থন নিয়ে নীতীশবাহিনীকে কার্যত তুলোধনা করেছিলেন প্রশান্ত। একই পথে হেঁটেছিলেন পবন ভার্মাও।
জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরই টুইটারে নীতীশকে ‘খোঁচা’ দিয়ে পিকে লিখেছেন, ‘‘ধন্যবাদ নীতীশ কুমার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ধরে রাখার জন্য আমার তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা। ভগবান আপনার মঙ্গল করুক’’।
আরও পড়ুন: ‘মমতাদি মুকুলদাকে বলেছিলেন, দ্যাখো ও কথা শুনছে না’
প্রসঙ্গত, সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে প্রথম থেকেই দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে। সংসদে সিএএ সমর্থন করায় নিজের দল জেডিইউ-র সমালোচনায় সরব হন পিকে। সে সময় টুইটারে প্রশান্ত কিশোর লিখেছিলেন, ‘‘ক্যাব সমর্থনের সময় তাঁদের কথা ভাবা উচিত ছিল জেডিইউ নেতৃত্বের, যাঁরা ২০১৫ সালে দলের উপর নিজেদের আস্থা, বিশ্বাস আরও অটুট করেছিলেন। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে ২০১৫ সালে আমরা কারও সঙ্গে আঁতাঁত করে জিতিনি’’। অন্য একটি টুইটে পিকে লিখেছিলেন, ‘‘আমাদের বলা হচ্ছে ক্যাব নাগরিকত্ব দেবে। কিন্তু বাস্তব হল, এনআরসি আর ক্যাব সরকারের জোড়া প্রাণঘাতী হাতিয়ার, যা দিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হবে’’। এদিকে, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে সিএএ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই যেভাবে সরব হতে দেখা যাচ্ছে প্রশান্ত কিশোরকে, তা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ। জেডিইউ-র পাশাপাশি তৃণমূলেরও ভোটকুশলী পিকে।
অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা জানিয়ে সরব হয়ে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন জেডিইউ নেতা পবন ভার্মা। সিএএ-কে সমর্থনের বিষয়ে প্রথম থেকেই নীতীশ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সরব হয়েছিলেন পবন ভার্মা। একইসঙ্গে সিএএ সমর্থনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য নীতীশ কুমারের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন এই জেডিইউ নেতা।