রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের 'দিদিকে বলো'র সাফল্যর পর এবার ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নজরে তৃণমূলের নেতা এবং বিধায়কেরা। উল্লেখ্য, 'দিদিকে বলো' অনুষ্ঠানের সূচনার দিনই দলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতা, বিধায়কদের সেই গতিবিধিতেই এবার নজর রাখছেন প্রশান্ত কিশোরের টিম। এমনকি বিধায়কদের এবং কর্মীদের রিপোর্ট কার্ডও তৈরি করছে ভোটকুশলীর টিম, এমনটাই খবর।
আরও পড়ুন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দেশদ্রোহী’, বিস্ফোরক মুকুল
প্রসঙ্গত, ২৯ জুলাই তৃণমূল সুপ্রিমো 'দিদিকে বলো' জনগণের কাছে পৌঁছাতে এবং দলের অন্দরের বাঁধন পোক্ত করতে 'দিদি কে বলো' প্রচার শুরু করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামী ১০০ দিনের মধ্যে আমাদের দলের ১০০০ জনপ্রতিনিধি এবং পদাধিকারী ১০ হাজারেরও বেশি গ্রামে গিয়ে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনবেন এবং সেই গ্রামে রাত কাটাবেন। তাহলে সরাসরি অনেক পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে”। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলেরই এক নেতা বলেন, "আমাদের দলের নির্দেশ ছিল গ্রাম পরিদর্শন করার সময় হয় ভিডিও রেকর্ড করতে কিংবা সোশাল মিডিয়াতে লাইভ করতে হবে"। রাজনৈতিক মহলের অবশ্য মত বিধানসভা ভোটের আগে জনগণের মধ্যে তৃণমূলে আস্থা ফেরানোর লক্ষ্যে সম্পূর্ণ কৌশলই প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত।
আরও পড়ুন- মমতার ‘দিদিকে বলো’ কি বিজেপির থেকে ‘চুরি করা’?
সূত্রের খবর, বিধায়ক, কর্মীরা গ্রামে গিয়ে কতোটা সময় কাটাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আসছে, সমস্তটাই নথিবদ্ধ করছে ভোট স্ট্র্যাটেজিস্টের টিম। এমনকি দল এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তৃণমূলের ব্লক স্তরের কর্মীদের কার কী মত তা জানতে বিশেষ আলোচনা বৈঠকও রাখছে 'টিম প্রশান্ত'। সূত্রের তরফে আরও জানা যায় যে বিধায়কদের রিপোর্ট কার্ড কিন্তু তৈরি করা হচ্ছে জনগণের সঙ্গে তাঁদের আলাপচারিতা এবং সেই নেতা, মন্ত্রীদের নিয়ে জনগণের যে প্রতিক্রিয়া তাঁর উপর বিবেচনা করে। অবশ্য এর সবটাই তৃণমূল সুপ্রিমোকে জানানো হবে এবং পরবর্তীতে সব সিদ্ধান্ত নেত্রীর উপরেই ন্যস্ত এমনটাই খবর ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে।
Read the full story in English