দেশের ১২ রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। পাশাপাশি এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তিনি উপরাজ্যপালও নিয়োগ করলেন। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি ও লাদাখের রাধাকৃষ্ণন মাথুরের পদত্যাগপত্রও গ্রহণ করলেন রাষ্ট্রপতি। যে রাজ্যগুলোর তিনি রাজ্যপাল নিয়োগ করলেন, তার মধ্যে মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ড বর্তমানে নির্বাচনের মুখে।
অরুণাচল প্রদেশের রাজ্যপাল হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) কৈবল্য ত্রিবিক্রম পরনায়েক, সিকিমের রাজ্যপাল হলেন লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্য, ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন, হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপাল হলেন শিবপ্রতাপ শুক্লা, অসমের রাজ্যপাল হলেন গুলাবচন্দ কাটারিয়া, অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল হলেন বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) এস আবদুল নাজির।
এরমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এস আবদুল নজির ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলায় রায়দানকারী দলের সদস্য ছিলেন। তিন তালাক ইস্যুতে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চেরও তিনি সদস্য ছিলেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জেএস খেহরের সঙ্গে তিনি যে রায় দিয়েছিলেন, তা পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে খারিজ হয়।
এই সব নতুন বিচারপতিদের নিয়োগ করার পাশাপাশি, রবিবার রাষ্ট্রপতি সাত জন রাজ্যপালের রাজ্য বদল করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল বিশ্বভূষণ হরিচন্দনকে ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল নিযুক্ত করেছেন। ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকে মণিপুরের রাজ্যপাল নিযুক্ত হলেন। মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল নিযুক্ত হলেন। বিহারের রাজ্যপাল ফাগু চৌহান নিযুক্ত হলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকর নিযুক্ত হলেন বিহারের রাজ্যপাল। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বৈশ নিযুক্ত হলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। অরুণাচল প্রদেশের রাজ্যপাল ব্রিগেডিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) বিডি মিশ্র লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিযুক্ত হলেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এই রাজ্যপালদের কার্যকালের মেয়াদ শুরু হবে।
আরও পড়ুন- ‘জেলে বসেই বিকাশদার সঙ্গে ফোনে কথা কেষ্টদার’, তোলপাড় ফেলা মন্তব্য কাজল শেখের
মহারাষ্ট্রের নতুন রাজ্যপাল বৈশ রায়পুর মিউনিসিপ্যালিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে জয়ী হয়েছিলেন ১৯৮০ সালে। সেটাই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের শুরু। তিনি বিজেপির হয়ে সাতবার রায়পুর লোকসভা আসনে জয়ী হন। রাজনৈতিক জগতে তিনি জায়ান্ট কিলার নামেও পরিচিত ছিলেন। দলের বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি আসীন ছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে তিনি ত্রিপুরার রাজ্যপাল নিযুক্ত হন।
Read full story in English