Narendra Modi Farmers rally in Midnapore: অতিথি আপ্য়ায়নে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। বাঙালি অতিথিকে নারায়ণের মর্যাদা দেয়। সেক্ষেত্রে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে যদি হাতের নাগালে পাওয়া যায়, তাহলে উত্তেজনার বাঁধ ভাঙাটাই স্বাভাবিক। ১৬ জুলাই মেদিনীপুরে কলেজ ময়দানে কৃষকরা সংবর্ধনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কৃষিপণ্য়ের সহায়ক মূল্য় বৃদ্ধির জন্য়ই এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। ওই সংবর্ধনা মঞ্চে রাজ্য় কিষান মোর্চা লাঙ্গল-সহ কৃষিযন্ত্র এবং কিছু বাছাই করা কৃষিজ পণ্য় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেবে।
বাংলা সকলকে আপন করে নেয়। জাতপাত, ধর্ম, বর্ণ দেখেন না আম বাঙালী। প্রধানমন্ত্রীকে আরও অনেক কিছু উপহার দেওয়ার অপেক্ষায় রাজ্য় কিষান মোর্চা। মেদিনীপুরে মোদী যে রাজনৈতিক বক্তব্য়ই পেশ করবেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এমনকী বিরোধীদের তুলোধোনাও করবেন। কিন্তু যেহেতু এটা সংবর্ধনা সভা, সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়াটা দস্তুর।
আরও পড়ুন: মেদিনীপুরের সভায় ৫ লক্ষ মানুষ! শহরে জায়গা কোথায়?
কী আছে উপহারের তালিকায়? উত্তরবঙ্গের তুলাইপঞ্জী চাল এবং ব্ল্যাক রাইস রয়েছে সর্বাগ্রে। তুলাইপঞ্জী চালের ভাত খাওয়ার সময় পাতে ঘি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। ঘি-এর গন্ধে এমনিই আমোদিত হয়ে ওঠে চারদিক। অন্য়দিকে ব্ল্যাক রাইসের খাদ্য়গুণ জানতে পারলে সবাই ওই চাল খুঁজতে বাজারে ছুটবেন। এতে রয়েছে অ্য়ান্টি-অক্সিডেন্ট, আয়রন এবং ভিটামিন ই-সহ আরও অনেক কিছু। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে উৎপন্ন হয় তুলাইপঞ্জী। উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকায় চাষ হয় ব্ল্যাক রাইসের।
কিষান মোর্চার রাজ্য় সভাপতি রামকৃষ্ণ পাল বলেন, "সব জেলা থেকেই কিছু না কিছু দিতে চান মানুষ। অনেক কিছুই দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। দেখা যাক কোনটা দেওয়ার অনুমতি মেলে। উত্তরবঙ্গের তুলাইপঞ্জী এবং ব্ল্যাক রাইস দেওয়া হবে মোদীজিকে। তাছাড়া রয়েছে দার্জিলিংয়ের সুগন্ধী চা।"
কৃষকদের সভায় হাজির হবেন প্রধানমন্ত্রী, সেখানে কৃষিযন্ত্র বা কৃষকের পোষাক উপহার না দিলে পুরো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটিই ফিকে হয়ে যাবে। তাই রয়েছে প্রতীকী কাঠের লাঙল, টোকা, গামছা, মাদুরও। রামকৃষ্ণবাবু বলেন, "মোদীজিকে দেওয়া হবে বসিরহাটের গামছা। চাষা আবাদের সময় কৃষকরা মাথায় যে টোকা পরে থাকেন তাও দেওয়া হবে। তালপাতা দিয়ে তৈরি হয় ওই বিশেষ ধরনের টুপি। সবংয়ের মাদুর তো উপহারের ডালিতে থাকবেই।"
অতিথি আপ্য়ায়নে মিষ্টি না থাকলে পর্বটি পূর্ণতা পায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা অতিথিদের দেওয়া হয়। তবে মিষ্টির বিষয়ে অন্য় কিছু ভাবনা রয়েছে কিষান মোর্চার। সীতাভোগ ও মিহিদানার প্রকৃতি অনেকটা নমনীয়। তাই ৫৬ ইঞ্চি চওড়া ছাতির প্রধানমন্ত্রীর জন্য় থাকছে বর্ধমান জেলারই শক্তিগড়ের বিখ্য়াত ল্য়াংচা।