'বিজেপি বাঙালি বিরোধী', প্রায়ই এই অভিযোগ করে তৃণমূল। এবার কার্যত সেই একই অভিযোগ করলেন মোদী মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য বাবুল সুপ্রিয়। রাত পোহালেই ভবানীপুরের ভোট। তার আগে 'বিজেপি বাঙালি বিরোধী' তত্ত্ব খুঁচিয়ে তুললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল। এ দিন সকালে দিল্লি থেকে হাওড়া পৌঁছন তিনি। কেন তাঁর বিজেপি ত্যাগের সিদ্ধান্ত? তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাবুল বলেন, 'বাঙালিদের উপর প্রধানমন্ত্রীর ভরসা নেই। তাই সাত বছরে বাংলা থেকে একজনও পূর্ণমন্ত্রী হননি। আমি আমার কথা বলছি না, আলুওয়ালিয়াজির মতো সিনিয়াররাও জায়গা পাননি। কোথাও অসামঞ্জস্যতা রয়েছে, এটাও উপলব্ধি করেছি'
ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবে বলেই আশাবাদী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর কথায়, 'মানুষের জন্যে কাজ করছেন মমতা দিদি। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলার উন্নয়ন করব বলে এসেছি। ভবানীপুরে কারও প্রচারের দরকার পড়ে না। আপনারা দেখতেই পাবেন সেখানকার মানুষ কী রায় দেন।'
ভবানীপুরের উপনির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে 'মরণ-বাঁচন' লড়াই। এই কেন্দ্রের বড় সংখ্যার ভোটার অবাঙালি। একুশের ভোটে শোভন চট্টোপাধ্যায় সব অংশের মানুষের ভোট পেয়েই ভবানীপুরে জয় হাসিল করেছিলেন। কিন্তু, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে জেতাতে হিন্দু অবাঙালি ভোটকে একত্রিত করে ইভিএমে রূপান্তরিত করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। কেন ফিরহাদ হাকিম একবালপুর এলাকায় ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে বেশি প্রচার চালাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে পদ্ম বাহিনী। এই প্রেক্ষিতে মোদীর একদা প্রিয়পাত্র বাবুল সুপ্রিয় 'প্রধানমন্ত্রীর বাঙালিদের উপর ভরসা নেই' দাবি রাজনৈতিকভাবে বিশেষ ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এই মন্তব্যের জন্য অবশ্য বাবুলকে 'বেইমান' বলে কটাক্ষ করেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেছেন, 'রাজনীতিতে এসেই উনি সাংসদ পদ, মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু ওকে সরিয়ে দিতেই আসল লোভী রূপ বেরিয়ে পড়েছে। সাফ হয়ে যাচ্ছে যে বাবুল সুপ্রিয় বেইমান লোক।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন