প্রধানমন্ত্রীর সংস্করণ নবীন পট্টনায়ক, একথাই বলেছেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার ভুবনেশ্বর টাউন হলে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে রাহুল বলেছেন, ‘‘দুর্নীতির বিষয়ে নবীন পট্টনায়ক মোদীর থেকে কোনও অংশে কম নয়। দিল্লিতে মোদীর উপর অঘোষিত সমর্থন রয়েছে নবীন পট্টনায়কের। ওড়িশাতে আমরা মোদীর সংস্করণের সঙ্গে লড়াই করছি।’’
বিজেপি ও বিজেডির মধ্যে আঁতাতের অভিযোগ তুলে কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘‘বিজেপি ও বিজেডি মডেল একই। গুজরাত মডেল হিসেবে যা বলা হয়, তা আসলে একটা সহজ চুক্তি। রাজ্য চালানোর জন্য কয়েকজন আমলার হাতে রাজ্য সরকারকে তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে জনগণের কথা শোনা হয় না।’’ নবীন পট্টনায়কের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাহুল আরও বলেছেন, ‘‘পট্টনায়ক একজন স্বৈরাচারী, ক্ষমতা কুক্ষীগত করেন কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর মতো অতটাও জঘন্য নন।’’
আরও পড়ুন, ‘‘প্রিয়াঙ্কার অভিষেকে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি ইতিবাচক দিকে এগোবে’’
এদিন দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো, কর্মসংস্থান নিয়েও সরব হন সোনিয়া পুত্র। রাহুল বলেছেন, ‘‘দেশে চাকরির সংকট রয়েছে। চিনে যেখানে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৫০ হাজার চাকরি মিলছে, ভারতে সেই সংখ্যা ৪৫০।’’ নোট বাতিল ও জিএসটি নিয়ে দেশবাসীর দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য, ‘‘দেশের ব্যাঙ্কের ১২.৫০ কোটি টাকা ৩০-৪০ জন ব্যবসায়ীর হাতে রয়েছে। আপনি যদি ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী হন, তাহলে নোট বাতিল ও জিএসটির ঝক্কি পোহাতে হবে। কিন্তু ঋণ থেকে রেহাই পাবেন না। নোট বাতিল ও জিএসটির জেরে গত পাঁচ বছরে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের হত্যা করা হয়েছে। ছোট ও মাঝারি ব্যবসাতেই চাকরি মিলছে। বড় ব্যবসায়ীরা আপনাকে চাকরি দিচ্ছেন না। পদ্ধতিগত পরিবর্তন হলে, কৃষিক্ষেত্রেই বহু চাকরি মিলবে।’’
এরপরই রাহুল বলেছেন, ‘‘৯ হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালাতে পারেন বিজয় মালিয়া। ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালাতে পারেন নীরব মোদী, যা এক বছরে একশো দিনের কাজের খরচের সমান। ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালাতে পারেন মেহুল চোকসি। অনিল অম্বানিকে ৩০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হতে পারে। জেনে রাখবেন ওড়িশার মানুষের টাকা চুরি করা হয়েছে। কারণ ওড়িশাতেও হ্যাল রয়েছে।’’
Read the full story in English