Advertisment

রথযাত্রার টেম্পো তুলতে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

রাজ্য বিজেপির ভরসা নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। এরাজ্যে দল এখনও সাংগঠনিকভাবে মজবুত নয়। তাই রথযাত্রা সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছাড়াও বেশ কিছু সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Samsung world's biggest mobile manufacturing factory in India:

ফাইল ছবি

রথযাত্রার টেম্পো তুলতে রাজ্যে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় চার-পাঁচ জায়গায় সভা করবেন তিনি। এর আগে রাজ্য বিজেপি জানিয়ে দিয়েছিল, তিন জায়গার রথযাত্রার উদ্বোধন করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সোমবার রথযাত্রার অনুমতি নিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে আবেদন করেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। একইসঙ্গে কলকাতার মেয়র নির্বাচন সংক্রান্ত পুরসভা আইন সংশোধনী বিল অনুমোদন না করার অনুরোধও করা হয় রাজ্যপালকে।

Advertisment

২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে রথযাত্রার মাধ্যমে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলতে চায় পদ্মশিবির। ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার, ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগণার গঙ্গাসাগর ও ১৪ ডিসেম্বর বীরভূমের তারাপীঠ থেকে 'গণতন্ত্র বাঁচাও' যাত্রার সূচনা হবে। এই তিন জায়গা থেকে রথযাত্রার উদ্বোধন করবেন শাহ। রথযাত্রা কালে লোকসভা ভিত্তিক বড় সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও মন্ত্রীরা ওইসব সভায় থাকবেন বলে আগেই জানিয়েছিল বিজেপি। এদিন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, "রথযাত্রা চলাকালীন চার-পাঁচ জায়গায় সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। যদিও এখনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।"

আরও পড়ুন: ২০১৯ লোকসভাকে সামনে রেখে বিজেপির রথযাত্রা ও কলাবেচা

জানা গিয়েছে, মোদীর সভা হতে পারে শিলিগুড়ি, মালদা, বীরভূম, দুর্গাপুর-আসানসোল ও কৃষ্ণনগরে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই একপ্রস্থ নির্বাচনী প্রচার করতে আপাতত মরিয়া গেরুয়া শিবির।

এদিন দিলীপ ঘোষ, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়, ও রাহুল সিনহা সহ রাজ্যের অন্যান্য নেতা দেখা করেন রাজ্যপালের সঙ্গে। রাজ ভবনে প্রায় ৪০ মিনিট তাঁরা নানা বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের কাছে অনুযোগ জানান। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়ে দেন, রথযাত্রা ও কলকাতা মেয়র বিল নিয়ে রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি বিষয়গুলি বিবেচনা করবেন।

রাহুল সিনহা বলেন, "দু'মাস হয়ে গিয়েছে রথযাত্রার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে একাধিকবার। পুলিশের ডিজি, নবান্ন, সবাইকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দেখা করতে চেয়েছি। কিন্তু উত্তর বা সাড়াশব্দ পাইনি। সৌজন্য দেখাতে পারে না। অসভ্য সরকার। রাজ্যপালকে এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী যেন রথযাত্রা হয়। সরকার প্রশাসনিক যন্ত্র কাজে লাগিয়ে বাধা দিচ্ছে।"

আরও পড়ুন: রাম রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতার 'নেতা' মা দুর্গা

এদিকে ঝাড়গ্রামে এক সভায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপির জয় শ্রীরাম থাকলে আমাদের মা দুর্গা আছেন।" রাহুলবাবু পাল্টা বলেন, "দুর্গা এবার টিএমসি অসুরকে বধ করবেন। এখন উনি দেখছেন, মুুসলমানদের চেয়ে দুর্গাকে বেশি দরকার। তাই আল্লাকে ছেড়ে দিয়েছেন। বাংলার মুসলমানেরা এটা বুঝুন। এতদিন ইমাম ইমাম আর আল্লা আল্লা করে বৈতরণী পার হয়ে এবার দুর্গা, বিষ্ণুকে স্মরণ করছেন।"

পাশাপাশি রাহুলবাবু জানান, "আইন পরিবর্তন করে বাইরে থেকে মেয়র বসানোর বিষয়টি রাজ্যপালকে জানিয়েছি। শুধু সংখ্যালঘু তোষন করতেই মেয়র করা হচ্ছে। কাউন্সিলরের বাইরে মেয়র করে কলকাতার মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। জনগণ উচিত সময়ে জবাব দেবে। এভাবে সংখ্যার জোরে সংবিধানকে অপমান করা যায় না।" তাঁর দাবি, "রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন, অ্যাডভোকেট জেনারেল সহ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টা দেখবেন। আর রথ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলবেন।"

Advertisment