/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/05/Naveen-Patnaik-and-PM-Modi.jpg)
বিজেডি সভাপতি এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেডি(ইউ) প্রধান নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের মাত্র ৪৮ ঘন্টা পরে নয়াদিল্লিতে এই বৈঠক হল। শুধু মোদীর সঙ্গে বৈঠকই নয়। দিল্লিতে নবীন বলেছেন, 'যতদূর আমি জানি, তৃতীয় ফ্রন্টের কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্তত এখন তো নেই।'
নবীন জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেডি আগের মতই বিজেপি এবং কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব নীতি বজায় রাখবে। নবীন বুঝিয়ে দিয়েছেন, জাতীয়স্তরে তাঁর বর্তমানে তেমন কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। বরং বিজেডি নিজের নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে তার দল একা লড়বে কি না জানতে চাওয়া হলে নবীন জানান, একা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, সবসময়ই তাঁর দলের নীতি।
নীতীশের আগে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ২৩ মার্চ নবীনের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাত করেছিলেন। মমতা এবং নীতীশ, উভয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পরও অবশ্য নবীন অদূর ভবিষ্যতে কোনও রাজনৈতিক জোটের জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
ওড়িশার ভোটারদের মধ্যে দুন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ৭৬ বছর বয়সি নবীন পট্টনায়েকের ব্যাপক জনপ্রিয়তা। ২০০০ সালের ৫ মার্চ থেকে তিনি ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জোট গড়ার আগে স্বভাবতই নবীনকে পাশে চাইছে অন্যান্য বিরোধী দলগুলো। বর্তমানে লোকসভায় বিজেডির ১২ এবং রাজ্যসভায় আট জন সাংসদ আছে।
আরও পড়ুন- সুপ্রিমের মহারাষ্ট্র নির্দেশ: শিণ্ডে না-উদ্ধব, আসল লাভ কার হল?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের ব্যাপারে নবীন জানিয়েছেন যে তিনি ওড়িশার দাবিগুলো তুলে ধরেছেন। নবীনের কথায়, 'আমি তাঁর সঙ্গে শ্রীজগন্নাথ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্পর্কে কথা বললাম। এই বিমানবন্দর পুরীতে তৈরি হচ্ছে। বিমানবন্দরের সীমানা আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা এর সম্প্রসারণ চাই। কারণ ভুবনেশ্বরে এখন যানজট খুব বেশি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি অবশ্যই সম্ভাব্য সবরকম উপায়ে সাহায্য করবেন।'