New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/09/modi.jpg)
প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ সংরক্ষণও আদালতে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখ পড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফাইল ছবি।
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে অনগ্রসর শ্রেণির রাজভর সম্প্রদায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৭-র বিধানসভায় রাজভরদের হাত করতেই এসবিএসপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল বিজেপি।
প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ সংরক্ষণও আদালতে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখ পড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফাইল ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই উত্তরপ্রদেশে এনডিএ-র জোটেদের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমে বাড়ছে। বিশেষ করে আপনা দল এবং সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি (এসবিএসপি)-র মধ্যে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরে প্রধানমন্ত্রীর জন সমাবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবারের সমাবেশেই রাজা সুহেলদেবের স্মৃতিতে পোস্টাল স্ট্যাম্প প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে অনগ্রসর শ্রেণির রাজভর সম্প্রদায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৭-র বিধানসভায় রাজভরদের হাত করতেই এসবিএসপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল বিজেপি। ওমপ্রকাশ রাজভরকে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় স্থানও দেওয়া হয়েছিল।
ওমপ্রকাশের জমি বেশ শক্তই গাজীপুরে। কিন্তু শনিবারের সমাবেশে ওমপ্রকাশের উপস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত নয় স্থানীয় নেতৃত্ব। তিনি নিজে জানিয়ে দিয়েছিলেন জন সমাবেশে থাকছেন না। কিন্তু রাজ্য বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানানোর জন্যই এই সমাবেশ, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সবাইকেই।
আরও পড়ুন, উনিশে দলকে চাঙ্গা করতে জানুয়ারিতে ত্রিপুরায় অমিত শাহ
"প্রধানমন্ত্রী মূলত রাজা সুহেলদেবের নামে পোস্টাল টিকিট উদ্বোধন করতে আসবেন। এ ছাড়া মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন", জানিয়েছেন গাজীপুরের বিজেপির জেলা সভাপতি ভানুপ্রতাপ সিং।
এসবিএসপি প্রধান সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন কি না, জিজ্ঞেস করা হলে সিং বলেন, "আমি নিশ্চিত নই। যেহেতু এটি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য আয়োজন করা সমাবেশ, সবাইকেই স্বাগত"। তবে বিজেপির ভাবগতিক দেখে এটা স্পষ্ট, জোট নয়, গাজীপুরে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতেই আগ্রহী বিজেপি। প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে বিজেপি-র ডাকা রাজভর সম্প্রদায়ের এক বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন না ওমপ্রকাশ। এসবিএসপি প্রধানের অভিযোগ ছিল তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
সম্প্রতি আপনা দল এসবিএসপি-র পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হয়েছে, বিজেপি-র শরিক দলগুলোকে অবহেলা করা হচ্ছে। এই অভিযোগ নিয়ে বিজেপি-র সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেছেন ওমপ্রকাশ রাজভর। এ হেন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের ফলে কতটা পাল্টাতে পারে ছবিটা, সেই দিকেই তাকিয়ে দেশের রাজনীতি মহল।
Read the full story in English